২০২৪ থেকে ২০২৭ মেয়াদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির পূর্ণ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১১২তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশ বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় সদস্য নির্বাচিত হয়।
জেনেভা স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিচালনা পর্ষদ ও নীতি নির্ধারণী ফোরাম গভর্নিং বডিতে ২৮টি সদস্যপদ রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি উচ্চ শিল্প গুরুত্ব সম্পন্ন দেশের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ১৮টি সদস্য পদের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ১৭৭টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ার সাতটি দেশের জন্য একটিমাত্র সদস্যপদ বরাদ্দ থাকায় এ অঞ্চলের সদস্য নির্বাচনে সাধারণত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে থাকে।
তবে এ বছরের নির্বাচনে বাংলাদেশ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে অন্যান্য প্রত্যাশী দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে দক্ষিণ-মধ্য এশিয়া অঞ্চল থেকে একমাত্র সদস্যপদ প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশের নাম উত্থাপন করা হয়। খবর বাংলা ট্রিবিউন’র
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে মোট চারটি দেশ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ ১৯৯৬-৯৯ ও ২০০৮-১১ মেয়াদে সংস্থাটির গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল। এ সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ সংস্থাটির নীতি নির্ধারণ ও পরিচালনায় কার্যকর অবদান রাখা এবং সংস্থাটির ত্রিপক্ষীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী সম্মেলন স্থলে উপস্থিত থেকে ভোটগ্রহণ প্রত্যক্ষ করেন এবং কূটনৈতিক সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জেনেভা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
