অস্ট্রেলিয়ায় উড়বে ফিলিস্তিনের পতাকা নিষিদ্ধ করতে পারবে না কেউ: খাজা

27

 

২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় গেছে ফিলিস্তিন ফুটবল দল। স্বাভাবিক নিয়মেই ভেন্যুতে দেখা মিলবে ফিলিস্তিনের পতাকার। এ বিষয়টি নিয়ে নিজের দেশের সরকারকেই খোঁচা দিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উসমান খাজা। কারণ অস্ট্রেলিয়া দেশ হিসেবে এখনও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি। আর খাজার ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের ব্যাপারটি নিয়ে এরইমধ্যে বহু জলঘোলা হয়েছে। তাই সুযোগ পেয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্স-এ মন্তব্য করতে ছাড়লেন না এই অজি ওপেনার।
ইসরায়েলের বর্বর হামলা সত্তে¡ও ফুটবল খেলা থেকে দূরে সরে আসেনি ফিলিস্তিন। তাদের জাতীয় দল অংশগ্রহণ করছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। তাদের গ্রæপে আছে লেবানন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। গ্রæপে তাদের অবস্থান দুইয়ে। শীর্ষ দুই দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ফিলিস্তিন দলের খেলা দেখতে তর সইছে না খাজার। এক্স-এ তিনি লিখেছেন, ‘এটার জন্য তর সইছে না। পার্থের এইবিএফ পার্কের সব জায়গায় উড়বে ফিলিস্তিনের পতাকা। এবং তারা কেউ এটা নিষিদ্ধ করতে পারবে না। আমি কিছুটা দ্বিধান্বিত, কারণ আমরা এমন দেশের বিপক্ষে কীভাবে খেলছি যাদের এখনও দেশ হিসেবেই স্বীকৃতি দেয়নি আমাদের সরকার? এটা কি সকারুস বনাম কেউ না? এটা খুবই বিভ্রান্তিকর। ২০২৩ সালে গ্রীষ্মের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনের পক্ষে আওয়াজ তুলতে শুরু করেন উসমান খাজা। নিজের জুতোয় স্বাধীনতা একটি মানবাধিকার এবং সব জীবনের মূল্য সমান ¯েøাগান লিখে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু মাঠের খেলায় তাকে এই ¯েøাগান লেখা জুতো পরে নামতে দেয়নি আইসিসি।
এমনকি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে কালো আর্মব্যান্ড পরার চেষ্টা করেও আইসিসির বাধায় তা পারেননি খাজা। এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নিজের ব্যাটে শান্তির প্রতীক পায়রা লাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় আইসিসি। তবে খাজাকে কিছুতেই নিবৃত্ত করতে পারেনি ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নিয়মিতই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আওয়াজ তুলছেন তিনি।