অর্থনৈতিক, উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারের সম্মত দুই দেশ

2

ইউএই প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করার জন্য উভয় দেশের অভিন্ন আকাঙ্খার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দু’দেশের নবায়নযোগ্য শক্তি, সমুদ্র বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিমান চলাচল, অবকাঠামো নির্মাণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য নতুন প্রযুক্তির উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়ে শক্তি সুরক্ষাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত করায় জোর দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ড. থানি বিন আহমেদ আল জাইউদি’র মধ্যকার আবুধাবিতে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা উঠে আসে। গতকাল মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উভয় মন্ত্রী যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিল সক্রিয় করার এবং নিকট ভবিষ্যতে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি সমাপ্ত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন । দু’দেশের ক‚টনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ করতে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল আগামি মাসে বাংলাদেশ সফর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের পক্ষ এডিএফডি (আবু ধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট) এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্যও অনুরোধ করেছে। দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি, মন্ত্রীরা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়েও আলোচনা করেছেন, ভাগ করা উদ্বেগগুলো মোকাবেলা করতে এবং টেকসই উন্নয়নের প্রচারের জন্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের প্রতি তাদের প্রতিশ্রæতি নিশ্চিত করেছেন। এ সময় ইউএইতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর এবং ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সাথে ছিলেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিমন্ত্রীকে তার মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সহায়তা করেন।
উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সরকারের আমন্ত্রণে আবুধাবিতে অনুষ্ঠিতব্য ১৩তম এআইএম (বার্ষিক বিনিয়োগ সভা) কংগ্রেস-২০২৪-এ যোগ দিতে ৩ দিনের সরকারি সফরে আছেন। ৭ থেকে ৯ মে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এইম কংগ্রেস হলো এইম গেøাবাল ফাউন্ডেশনের একটি উদ্যোগ, একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক সংস্থা যা কার্যকর প্রচার কৌশলগুলো বৃদ্ধি করে এবং অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা ও সম্প্রসারণের সুযোগগুলোকে সহজতর করে বিশ্বের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। মন্ত্রী, শিল্প নেতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা এবং বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞসহ ১৭৫টি দেশের ১০ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী কৌশল এবং সুযোগগুলো অন্বেষণ করতে এখানে জড়ো হচ্ছেন।