‘অদক্ষ চিকিৎসক’ দিয়ে অস্ত্রোপচারে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

3

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হাটহাজারী পৌরসভার মেডিক্যাল গেটের জমজম হসপিটালে অদক্ষ চিকিৎসক দিয়ে অস্ত্রোপচারে (সিজার) মুন্নী আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, অদক্ষ চিকিৎসক দিয়ে সিজার করা হয়নি এবং চিকিৎসকের কোন অবহেলাও ছিল না। বরং সিজারের পর ওই প্রসূতি নির্ধারিত নিয়ম না মানায় এমনটি হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে ওই হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রসূতির মৃত্যু হয়। প্রসূতি মুন্নী আক্তার উপজেলার মেখল ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের ইছা খাঁ চৌধুরী বাড়ির কৃষক মো. জুয়েলের স্ত্রী। ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ সামাজিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মুন্নী আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি জানান তার স্বামী জুয়েল। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে, তাকে প্রথমে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে ভর্তি করানোর পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা সিজার করতে হবে বলে জানান। এর মধ্যে আমি স্ত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার প্রাক্কালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন জমজম হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তাদের পরামর্শে জমজম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই।
তিনি বলেন, জমজম হাসপাতালে ভর্তি করার এক ঘণ্টা পর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে সিজার করেন এবং একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এর মধ্যে রাত ১১ টার দিকে হঠাৎ আমার স্ত্রীর পেট ফুলতে শুরু করে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হলে তার অবস্থার অবনতি হয়েছে জানিয়ে দ্রæত চমেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। তড়িঘড়ি করে এম্বুলেন্সেযোগে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে জমজম হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. মিশকাত আজিজ জানান, কোন অদক্ষ চিকিৎসক দিয়ে সিজার করানো হয়নি। সিজার পরবর্তী প্রসূতি মাকে কোন খাবার দেওয়ার নিয়ম না থাকলেও এ রোগীর বেলায় তা ব্যত্যয় ঘটেছে। ধারণা করছি, রোগীর স্বজনরা প্রসূতিকে খাবার দিয়েছেন। ফলে ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দ্রুত চমেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।