ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তার স্ত্রী ও ছেলে এবং ভাই ও ভাতিজার মালিকানায় থাকা ৯৪টি কোম্পানির শেয়ার এবং ১০৭টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব শেয়ার ও বিও হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন।
বিও হিসাবগুলোর মধ্যে ২৮টি সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানির মালিকানাধীন এবং ৭৯টি সালমান এফ রহমানের ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসাব।
তবে এসব কোম্পানিতে তাদের শেয়ার সংখ্যা, বিও হিসাবে তাদের শেয়ার এবং এর মোট পরিমাণের তথ্য দেওয়া হয়নি দুদকের আবেদনে। খবর বিডিনিউজ’র
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও অন্যান্যদের মধ্যে বিরুদ্ধে ‘প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার’ মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের ‘হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের’ অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
সংস্থাটির আবেদনে সালমানের স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই বেক্সিমকো গ্রæপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান, সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং সোহেলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমান অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বলে আবেদনে বলা হয়েছে।
দুদক তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক হতে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে ‘আত্মসাৎসহ’ হাজার হাজার কোটি টাকা ’বিদেশে পাচারের’ অভিযোগ থাকার কথা বলেছে।
শেয়ার ও বিও হিসাব অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সালমান এফ রহমান, তার পরিবারের সদস্য, ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও অন্যান্যদের নামে কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও বিও হিসাবগুলোর তথ্য পাওয়া যায়।
এর আগে ২৩ জানুয়ারি সিআইডির আবেদনে সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছিল আদালত।
আবেদনে দুদক বলেছে, অনুসন্ধানে জানা গেছে তারা এসব কোম্পানির শেয়ার ও বিও হিসাবগুলো হস্তান্তর, স্থানান্তর বা রূপান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে সফল হলে এই অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল, আদালতে বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুক‚লে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে।
সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায় বিচারের জন্য সালমানসহ অন্যদের মালিকানায় থাকা শেয়ার ও বিও হিসাব অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।