৭ দিনেও বিক্রি হয়নি ৫১৩৫ ট্রেন টিকিট

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল আজহাকে উপলক্ষ করে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, কক্সবাজার, চাঁদপুর রুটে ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। আগামিকাল ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত সাত দিনে এসব ট্রেনে চড়ে ঘরমুখো হবেন ৫৪ হাজার ৬৫৭ জন যাত্রী। গত ২১ মে থেকে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয় যা শেষ হয় ২৭ মে।
অগ্রিম টিকিট বিক্রির এই সাত দিনে ১১টি ট্রেনের ৪৯ হাজার ৫২২টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। তবে এখনো অবিক্রিত রয়েছে ৫ হাজার ১৩৫টি টিকিট। গত বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত রেল সেবা অ্যাপে এমন তথ্য মিলেছে। তবে কোনো টিকিট অবিক্রিত থাকলে সেগুলো স্ট্যান্ডিং টিকিট হিসেবে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ পূর্বদেশকে বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে যাত্রীরা ভালোভাবেই সাড়া দিয়েছে। ঈদের আগের কয়েকদিনের টিকিট অবিক্রিত নেই। প্রথমদিকের যেসব টিকিট অবিক্রিত আছে সেগুলো স্ট্যান্ডিং টিকিটের সাথে বিক্রি হবে’।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১মের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয় ২১ মে। ১ জুনের টিকিট বিক্রি হয় ২২ মে। ২ জুনের টিকিট বিক্রি হয় ২৩ মে। ৩ জুনের টিকিট বিক্রি হয় ২৪ মে। ৪ জুনের টিকিট বিক্রি হয় ২৫ মে। ৫ জুনের টিকিট বিক্রি হয় ২৬ মে। আর ৬ জুনের টিকিট বিক্রি হয় ২৭ মে। ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩০ মে। ওইদিন ৯ জুনের টিকিট ৩১ মে; ১০ জুনের টিকিট ১ জুন; ১১ জুনের টিকিট ২ জুন, ১২ জুনের টিকিট ৩ জুন; ১৩ জুনের টিকিট ৪ জুন; ১৪ জুনের টিকিট ৫ জুন; ১৫ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।
রেল সেবা অ্যাপ ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রতিদিন ৪৬৮ টিকিট, সুবর্ণা এক্সপ্রেসে ৭৯৭, মহানগর এক্সপ্রেসে ৭৩৬, মহানগর গোধূলীতে ৭৯৭, সোনার বাংলায় ৭৯৭, ত‚র্ণা নিশিথায় ৮৩৫, ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেসে ৬৬৯, কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ৬১৫, চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেসে ৯৩৭, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেসে ৬৪০, প্রবাল এক্সপ্রেসে ৬৪০ টিকিট ছাড়া হয়েছে। এই ১১ ট্রেনে প্রতিদিন ৭ হাজার ৯৩১ যাত্রীর জন্য টিকিট উন্মুক্ত করা হয়। সে হিসেবে সাত দিনে এসব ট্রেনে ৫৪ হাজার ৬৫৭ জন যাত্রী ঈদে বাড়ি যাবে। তবে প্রবাল ও সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনে একদিন কম চলাচল করবে। ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে ৩১ মে থেকে ২ জুন ও ৬ জুনের অধিকাংশ টিকিট অবিক্রিত রয়েছে। ৩ ও ৫ জুনের টিকিটের চাহিদা ছিল বেশি। যে কারণে এই তিন দিনের টিকিট অবিক্রিত নেই। ৩১ মে এক হাজার ৫০১ টিকিট, ১ জুন এক হাজার ৬০১ টিকিট, ২ জুন ১৯০ টিকিট, ৬ জুন এক হাজার ১৬৬ টিকিট অবিক্রিত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে ত‚র্ণা নিশিথা ও মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে। কক্সবাজার ও পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনে সাত দিনে ১৮৬টি টিকিট অবিক্রিত রয়েছে।
এবার ঈদুল আজহা হবে ৭ জুন। ৫ জুন থেকে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলেও ৩ জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবে। সে হিসেবে ৩ জুন থেকেই ঈদের ছুটির আমেজ শুরু হওয়ায় সেদিন থেকেই মূলত ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বাড়বে। এর আগে যারা অগ্রিম ট্রেন টিকিট সংগ্রহ করেছেন তাদের অধিকাংশই নিয়মিত যাত্রী। ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় ৯ জুন থেকেই ফিরতি টিকিটের চাহিদা থাকবে। অনেকেই ঈদের পরদিন থেকে পরিবার নিয়ে ভ্রমনে বের হবেন। যে কারনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারগামী সৈকত, প্রবাল, পর্যটক ও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন টিকিটের চাহিদা থাকবে বেশি। আগামিকাল থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলে হুমড়ি খেয়ে এই চার ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করবে যাত্রীরা।