৭ তলার পুরো ভবন পুড়ে ছড়ালো পাশের ভবনেও

5

পূর্বদেশ ডেস্ক

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার দুটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটেছে। আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে আগুন লাগে। রাত ১২টা পর্যন্ত টানা প্রচেষ্টা চালিয়েও আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিটের সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ঘটনাস্থলে যোগ দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে একটি রোবট ইউনিটও।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, আগুন নেভাতে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে লাগানো পাইপ দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি ছিটানো হচ্ছে।
আগুন লাগা ভবনের আট তলার ছাদ ধসে পড়েছে এবং ভেতরে থেমে থেমে বিস্ফোরণ ঘটছে। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা তৈরি হয়েছে। প্রচন্ড তাপে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ভবনের কাছে যেতে পারছেন না, দূর থেকে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। আগুনের তাপে পাশের একটি তিনতলা ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানার ভবনও অতিরিক্ত গরম হয়ে গেছে। আগুন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এসব কারখানার কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে ভবনে পানি ছিটিয়ে ভবন ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, বন্দর, আগ্রাবাদ, ইপিজেড, কালুরঘাট ও চন্দনপুরা স্টেশনের ২৩টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। আগুন লাগা প্রতিষ্ঠানগুলো তোয়ালে ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি তৈরি করত। প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আপাতত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুস সোবহান বলেন, আগুন লেগেছে ভবনের সপ্তম তলায়, যা মূলত গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন ভবনে, তবে সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিইপিজেড কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক আশেক মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, অ্যাডামস ক্যাপে ১ হাজার ৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে এবং শ্রমিকরা ভবনটি থেকে নেমে যান। তিনি আরও জানান, আগুন প্রথমে ওপরের তলায় লাগার কারণে শ্রমিকরা দ্রুত এবং নিরাপদে বের হয়ে যান। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। এখন আশপাশের ভবনগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিস।