বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে আলমগীর হত্যাকান্ডের পর দায়ের করা মামলা তুলে নিতে গুম ও প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এই অভিযোগ করেন নিহত আলমগীরের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে নিহতের ভাই মোহাম্মদ দস্তগীর সিকদার মানিক বলেন, আমার বড় ভাই মোহাম্মদ আলমগীর শিকদারকে ২০১৯ সালে সরই ইউনিয়নের পুলাং পাড়ার নিজ মুরগী ফার্ম থেকে বাড়িতে আসার পথে সেলিম উদ্দিনসহ তার সহযোগিরা পরিকল্পিতভাবে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। ঘটনার পর লামা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সায়মন ত্রিপুরা ও বীর বাহাদুর ত্রিপুরাকে আটক করে এবং আটককৃতরা সেলিম উদ্দিনসহ ৬ জন মিলে আমার ভাইকে হত্যা করেছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে স্বীকারোক্তিও দেয়। শুধু তাই নয়, পরবর্তিতে সাবের আহমদ নামে আরেকজনকেও আটক করে পুলিশ, সেও একই স্বীকারোক্তি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সেলিম উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীন ভেটু ও তার ভাই জমির উদ্দীন আলমগীর হত্যাকান্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী এবং নিজেরাও হত্যার সাথে জড়িত মর্মে বিজ্ঞ আদালতে সায়মন ত্রিপুরা, বীর বাহাদুর ত্রিপুরা ও সাবের আহমদ ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে স্বীকার করে। কিন্তু আমার ভাইয়ের হত্যা মামলার ৬ বছর অতিবাহিত হলেও প্রধান ও মূল আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আসামিরা দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদেরকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছে। দ্রুত মামলা তুলে না নিলে আমাদেরকে গুম করে হত্যা করার হুমকি দেয় আসামীরা। বর্তমানে আমরা প্রাণনাশের হুমকিতে আছি।
মানিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি সেলিম উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন ভেটু ও জমির উদ্দীন আলমগীরকে দ্রæত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান নিহতের স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত মোহাম্মদ দস্তগীর সিকদার মানিকের বাবা, ছেলে, ছোট ভাইসহ বান্দরবানে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।