নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসএসসি) পরীক্ষায় ৬৮ হাজার ২৭১টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ইংরেজিতে। গত ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত ফলাফলে যারা অকৃতকার্য হয়েছে অথবা আশা অনুযায়ী ফলাফল পায়নি তারাই শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত সময়ে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৩২৪ জন। এরমধ্যে ইংরেজি ১ম পত্রে আবেদন জমা পড়েছে ১৪ হাজার ৯৪২টি এবং ইংরেজি ২য় পত্রে ১৪ হাজার ৯৪২টি।
এদিকে, গত ৩০ জুন থেকে এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি। একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রুপ নেয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয় ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদিও তা হয়নি। পরবর্তীতে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এএমএম মুজিবুর রহমান বলেন, পুনঃনিরীক্ষণের জন্য যারা আবেদন করেছে তাদের উত্তরপত্রে নম্বর যোগ বা উঠানোর ক্ষেত্রে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধন করে পুনরায় ফল প্রকাশ করা হবে। আগামি ১৫ নভেম্বর পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ কর হবে।
সাধারণত, পুনঃনিরীক্ষণের ফল মূল ফলাফল প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই প্রতি শিক্ষাবোর্ড এর নিজ নিজ ওয়েবসাইটে পিডিএফ আকারে প্রকাশ করে থাকে। এছাড়া আবেদনকারীর আবেদন করার সময় প্রদান করা ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরেও কেন্দ্রীয়ভাবে ফলাফল এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।