৫ দফা দাবিতে ইন্টার্নদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার চেয়ে ৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিল। গতকাল রবিবার সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু করে সংগঠনটি। হাসপাতালে প্রায় ১৮০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক পালাক্রমে চিকিৎসকদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তারা কর্মবিরতিতে থাকায় রোগীর চিকিৎসায় হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
এর আগে শনিবার ইন্টার্ন চিকিৎসক কাউন্সিলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ ফেব্রæয়ারি ৯০তম বারের মত হাইকোর্ট রায় পেছানোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতকে নাট্যমঞ্চের রঙ্গশালায় পরিণত করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সারাদেশের সকল মেডিকেল কলেজের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে পূর্ণাঙ্গ রায় ও ৫ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সকল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে। চমেক হাসপাতালের ইন্টার্র্ন ডা. আহমদ হাসবাইন জানান, পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ৫ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না’- বিএমডিসির উচ্চ আইনের ভিত্তিতে করা এই আইন দ্রুত কার্যকর করা ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত এমবিবিএস/বিডিএস চিকিৎসকদের চিকিৎসা প্রদান নিষিদ্ধ করা, ২০১০ সালের সরকারি ম্যাটস থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া বন্ধ করা; এই বিষয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা, এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ওটিসি লিস্ট এর বাইরে ড্রাগ প্রেসক্রাইব যাতে না করতে পারে এবং রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কর্মক্ষেত্রগুলো ওটিসি লিস্ট এর বাইরে কোনো চিকিৎসা যেন করতে না পারে, স্বাস্থ্যখাতে বিনিযোগের সঠিক পরিকল্পনা করা, ৫০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূন্য পদ পূরণ করা, অঞ্চলভিত্তিক স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মতো সম্মুখস্তরের চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়া, প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখা; সেইসাথে স্বাস্থ্যখাতের বিসিএস এর কার্যক্রম আরও দ্রæত করা, সমস্ত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ও মাধ্যমিক সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহ বন্ধ করে দেয়া, ইতোমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবী রেখে শুধুমাত্র মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা।
এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে শিক্ষার্থীরাও শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. তসলিম উদ্দীন বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। অন্য চিকিৎসকদের দিয়ে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।