চন্দনাইশ প্রতিনিধি
চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর তারা বইন্যা পাহাড়ি এলাকা থেকে আহমদ হোসেন (৫৩) নামের এক কাঠুরিয়াকে অপহরণ করার পর ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি (শনিবার) সকালে কাঞ্চননগর বইন্যা পাহাড়ি এলাকায় কাঠ কাটতে গিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে অপহরণের শিকার হন উপজেলার কাঞ্চনাবাদ রাহাত আলী তালুকদার বাড়ির আহমদ হোসেন। পরে স্বজনরা মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করে দিলে তিনি জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান।
এদিকে গত শনিবার বিকেলে উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছৈয়দাবাদ পাহাড়ি এলাকা থেকে আরো ৪ কৃষক অপহরণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, শনিবার সকালে কাঞ্চনাবাদ এলাকার মুন্সি মিয়া, আহমদ হোসেনসহ কয়েকজন কাঠুরিয়া পাহাড়ে কাঠ কাটতে যায়। এ সময় পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করলে মুন্সি মিয়াসহ অন্যরা পালিয়ে আসে। কিন্তু আহমদ হোসেন পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে আটক হয়। পরে মোবাইল ফোনে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবারের সদস্যরা অনেক কষ্টে ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করে দিয়ে আহমদ হোসেনকে মুক্ত করে আনেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জোয়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমিন আহমদ চৌধুরী রোকন।
এদিকে হাশিমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছৈয়াদাবাদ পাহাড়ি এলাকায় কৃষি জমি থেকে সবজি, পাহাড় থেকে লাকড়ি, বাঁশ ইত্যাদি আনতে গেলে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা আরো ৪ কৃষককে অপহরণ করে। তারা হলেন হাশিমপুর ইউনিয়নের ছৈয়দাবাদ ১নং ওয়ার্ডের জুনু মিয়ার ছেলে মো. রহিম (৩৪), মো. হারুন মিয়ার ছেলে বদিউল আলম (২৯), ২নং ওয়ার্ডের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. কামাল (৩৮) এবং মো. জুনায়েদ (৪৪)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হেলাল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন বলেছেন, কাঠুরিয়াকে অপহরণ করার বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। তবে কয়েকজন সাংবাদিক বিষয়টি তার কাছে জানতে চেয়েছেন। একই দিন বিকেলের দিকে আরও ৪ জনকে অপহরণের বিষয়টি তিনি অবশ্য শুনেছেন বলে জানান। তবে এ ব্যাপারে অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাননি বলে জানান তিনি।