৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার করছে চসিক

21

কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে সংক্রমণ হার দ্রæত বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আক্রান্তদের সেবা প্রদানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনায় নগরীর লালদীঘি পাড়স্থ চসিক লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি গতকাল বিকাল ৩ টায় নিজে ভবনটি পরিদর্শন করে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীকে দ্রæততার সাথে আইসোলেশান সেন্টার প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। আগামী মঙ্গলবার ৬ এপ্রিল এই আইসোলেশন সেন্টারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় তৎকালীন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আগ্রাবাদের সিটি হলে কোভিড আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গত বছরের ২১ জুন থেকে চালু হওয়া এই আইসোলেশন সেন্টারে ১০ আগস্ট পর্যন্ত মৃদু উপসর্গধারী ১২৯ করোনা রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। এর বাইরেও সেখানে আউটডোরে ৩০ জন রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। আইসোলেশন সেন্টারটিতে ১৬ চিকিৎসকসহ ৯৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেন।
এই আইসোলেশন সেন্টারটির ব্যবহৃত জিনিসপত্র দিয়েই মূলত ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী। তিনি জানান, আমাদের আগের আইসোলেশন সেন্টারটির সব যন্ত্রপাতি স্টোরে জমা আছে। তাই নতুন সরঞ্জাম তেমন কিছু কিনতে হবে না। ওসব দিয়ে এবারের আইসোলেশন সেন্টারটি চালু করা হবে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, এখানে রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধপত্র-অক্সিজেন সার্পোট, খাবারসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সেবা পাবেন। এছাড়া রোগী পরিবহন ও স্থানান্তরের জন্য সার্বক্ষণিক এম্ব্যুলেন্স সার্ভিস থাকবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুমন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে এই আইসোলেশন সেন্টারে চসিকের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া আক্রান্ত রোগীর অবস্থা জটিল হলে তা সারিয়ে তুলতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে বিশেষ পরামর্শ গ্রহণ করা হবে এবং টেলি মেডিসিন সেবারও ব্যবস্থা থাকবে। মেয়র আরো জানান, আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি নগরীতে সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনামূল্যে মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের তত্বাবধানে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা পালন ও অনুসরণে বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে নগরবাসীকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।