সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ ও ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’-এর ধারাকে ধরে রেখে সংবিধানের মূলনীতিতে সাম্য, ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও গণতন্ত্র সংযোজনের প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, ‘প্রথম পর্বে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অধিকাংশ দল জীবদ্দশায় ১০ বছরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রস্তাবে একমত হয়েছে। বিএনপি ও দুটি ছোট দল পরে তাদের মত জানাবে বলে জানিয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
সংবিধানের মূলনীতির বিষয়ে আলোচনা তুলে ধরে তাহের বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রকে মূলনীতি হিসেবে সংযোজন করতে। আমরা এতে একমত হয়েছি। পাশাপাশি আমরা আওয়ামী লীগের আমলে করা সংশোধনগুলো বাতিলের দাবি জানিয়েছি।তিনি বলেন, পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ ও ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ যুক্ত করেছিলেন। আমরা চাই, সেই ধারার সঙ্গে চারটি নতুন মূলনীতি যুক্ত হোক। তবে বামপন্থি কয়েকটি দল এতে আপত্তি জানিয়েছে। তারা ‘আস্থা-বিশ্বাস’ শব্দচয়নে মতপার্থক্য প্রকাশ করেছে। তবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী দলসহ অধিকাংশ দল এই প্রস্তাবে একমত।
দুই মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী সংক্রান্ত প্রস্তাব থেকে জামায়াত সরে এসেছে কিনা এমন প্রশ্নে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আমরা দুই মেয়াদ বলতে পূর্ণ মেয়াদের কথা বলেছি, যা মোট ১০ বছর হয়। একই সংসদে একাধিক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, যুক্তরাজ্যে এমন নজির রয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের সংলাপে অনেক বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ, প্রধানমন্ত্রীর সময়কাল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও সংরক্ষিত নারী আসন ইস্যুতে অনেকখানি ঐক্য তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতের সংলাপে আরও অগ্রগতি হবে।