নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর আকবরশাহ এলাকার অন্তত চার শতাধিক পাহাড়-টিলা ও জলাশয় ভূমির মালিক পাহাড়-টিলা কর্তন (কাটা) ও মোচন এবং জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকার করেছেন।
গতকাল রবিবার বিকালে আকবরশাহ থানাধীন উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জয়ন্তিকা ও উত্তর লেকসিটি এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় ভূমি মালিকরা হাত তুলে ও লিখিত আকারে এ অঙ্গীকারপত্র তুলে দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. সাদি উর রহিম জাদিদের হাতে। ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদি সমিতি (বেলা) এবং ভোরের আলো। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক সোনিয়া সুলতানা। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. আরাফাত সিদ্দিকী, ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আকবরশাহ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার সেলিম, সিএমপির আকবরশাহ থানার ওসি (তদন্ত) মো. আফতাব হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মুনিরা পারভীন রুবা।
ভোরের আলোর প্রতিষ্ঠাতা মো. শফিকুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভূমি মালিকদের পক্ষ থেকে পাহাড়-টিলা কর্তন/মোচন ও জলাশয় ভরাট না করার লিখিত অঙ্গীকারপত্র তুলে ধরেন জয়ন্তিকা আবাসিক প্লট মালিক কল্যাণ কমিটির আহব্বায়ক মো. তৌহিদুল ইসলাম।
ভূমি মালিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম আহব্বায়ক ওহীদুল ইসলাম, সদস্যসচিব মো. কামাল উদ্দীন ও ভূমি মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মো. আক্কাস আলী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন সংশোধিত ২০১০ অনুযায়ী সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় বা টিলা, ছনখেলা কিংবা দৃশ্যমান পাহাড়, জলাশয় যাই হোক না কেন, তা কাটা, মোচন বা ভরাট করা এবং যে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ। সুতরাং, আমাদের কঠোর এবং শেষ বার্তা হচ্ছে বন-পরিবেশ-প্রকৃতি কিংবা জলাশয় নিশ্চিহ্ন করে কিংবা ক্ষতি করে কোন আবাসনের সুযোগ নেই। নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে পাহাড়-টিলা থেকে আপনারা সরে যান। জলাশয় তথা খাল, পুকুর, নদীসহ জলাধার ভরাট করে কিংবা দখল করে যারা স্থাপনা করেছেন বা করছেন তারা তা উন্মুক্ত করে দিন।
