নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের ৪৬ বালুমহালের ইজারা দরপত্র আহবান করেছে জেলা প্রশাসন। এবার বালুমহাল ইজারায় রাজস্ব আয়ের সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ১৫০ টাকা। বিভিন্ন উপজেলায় যেখানে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় আগামী এক বছরের জন্য বালুমহালগুলো ইজারা দেয়া হবে।
সরকারি হিসেবে এসব বালুমহালে সম্ভাব্য বালুর পরিমাণ ৯৪ লাখ ঘনফুট। তবে গত বছরের তুলনায় এবার চারটি বালুমহাল কমেছে। প্রথমধাপে আগামী ১৯ মার্চ দুপুর ১টা পর্যন্ত দরপত্র জমা নিয়ে একইদিন দুপুর ২টায় দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ফরিদা খানম বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় যেখানে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় ৪৬টি বালুমহাল ইজারার দরপত্র আহবান করা হয়েছে। বাংলা সনের আগামী ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য বালুমহালগুলো ইজারা দেওয়া হবে। প্রতিটি বালুমহালের কি পরিমাণ বালু আছে, সে হিসেবে সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনধাপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে সরকার কাঙ্খিত মূল্য না পেলে পরবর্তী ধাপে আবারও দরপত্র আহŸান করা হবে।’
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ায় ইছামতি-২, ইছামতি-৩, ইছামতি-৪, শিলক খাল বালুমহাল (পদুয়াংশ), ঝংকার খাল বালুমহাল, নারিশ্চা বালুমহাল, ফকিরাহাট বালুমহাল, ফটিকছড়ির গামারীতলা বিনাজুরী খাল বালুমহাল, ফটিকছড়ি লেলাং খাল বালুমহাল, গজারিয়া খাল বালুমহাল-১, গজারিয়া খাল বালুমহাল-২, গজারিয়া খাল বালুমহাল-৩, রুপাইছড়ি খাল বালুমহাল-৩, বালুখালী খাল প্রকাশ কাইটাইস্যা বালুমহাল, ফনি খাল বালুমহাল, শোভনছড়ি বালুমহাল, পশ্চিম মন্দাকিনী খাল বালুমহাল, বেতুয়া বালুমহাল, বারমাসিয়া খাল বালুমহাল (বৈদ্যের হাট), সত্তার খাল বালুমহাল, ডলু বালুমহাল, মানিকপুর বালুমহাল, ধুরুং খাল বালুমহাল, লোহাগাড়ার চরম্বা বালুমহাল-৩, জামছড়ি বালুমহাল, উত্তর পদুয়া বালুমহাল-১, চরম্বা মাইজবিলা বালুমহাল, সাতকানিয়ার সোনাইছড়ি খাল বালুমহাল, পটিয়ার খরনা বালুমহাল, চান খালী খাল বালু মহাল, রাউজানে কর্ণফুলী বালুমহাল-১, কর্ণফুলী বালুমহাল-২, সর্ত্তাখাল বালুমহাল-১, ডাবুয়া খাল বালুমহাল-১, ডাবুয়া খাল বালুমহাল-২, রাউজান খাল বালুমহাল, কাঁশখালী খাল বালুমহাল, সর্ত্তা খাল বালুমহাল-২ (চিকদাইর অংশ), ফটিকছড়ি ছড়া বালুমহাল, সর্ত্তাখাল বালুমহাল-৪, চন্দনাইশের ডলু খাল বালুমহাল, গুইল্যাছড়ি বালুমহাল, বরগুনী খাল বালুমহাল (গাছবাড়িয়া পৌরসভা অংশ), বরগুনী খাল বালুমহাল (হাশিমপুর অংশ), বরুমতি খাল বালুমহাল (হাশিমপুর অংশ-১), বরুমতি খাল বালুমহাল (হাশিমপুর অংশ-২)।
সবচেয়ে বেশি বালু আছে লোহাগাড়ার জামছড়ি বালুমহালে। এই বালুমহালে সম্ভাব্য বালুর পরিমাণ ২০ লাখ ঘনফুট। এই বালুমহালে সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে এই বালুমহালে প্রতি ঘনফুট বালুর দাম পড়েছে ৮০ পয়সা। সবচেয়ে বেশি চন্দনাইশের বশরত নগরের ডলু খাল বালুমহালে এক কোটি ২২ লাখ ৬১ হাজার ৩৮১ টাকা সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বালুমহালে সম্ভাব্য বালুর পরিমাণ সাত লাখ ঘনফুট। সে হিসেবে প্রতি ঘনফুট বালুর দাম প্রায় সাড়ে ১৭ টাকা।