পূর্বদেশ ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরকার পতন পর্যন্ত আটটি হত্যার ঘটনায় নিউ মার্কেট ও যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৪৩দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছেন বাহিনীটির কর্মকর্তারা। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে চৌধুরী মামুনকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে তাকে রিমান্ডে পেতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আদালতে তোলা হলে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী। তবে তা নাকচ হয়ে যায়। খবর বিডিনিউজের।
৪৩ দিন কি টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে নাকি অন্য কোনো উপায় রয়েছে, জানতে চাইলে প্রসিকিউশনের এএসপি মো. নূরুল মোত্তাকিন বলেন, বিভিন্ন মামলায় চৌধুরী মামুনের ৪৩ দিন রিমান্ড হলেও জিজ্ঞাসাবাদে সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে আগে পরে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এক্ষেত্রে কত দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে, তার কোনো নির্দেশনা দেননি আদালত। তাই একটানা ৪৩ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা এক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পর আরেক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পূর্বে তাকে বিশ্রামও দিতে পারেন।
চৌধুরী মামুনকে যাত্রাবাড়ি থানার সাতটি মামলায় ৩৮ দিন এবং নিউ মার্কেট থানার একটি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ীর সাত মামলার মধ্যে শিক্ষার্থী মো. সাকিব হাসান হত্যা মামলায় সাত দিন, ইমন হোসেন গাজী হত্যা মামলায় সাত দিন, মো. ইরফান ভুইয়া হত্যা মামলায় পাঁচ দিন, সৈয়দ মুস্তাসির রহমান হত্যা মামলায় পাঁচ দিন, কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় হত্যা মামলায় পাঁচ দিন, ভ্যানচালক জাহাংগীর মৃধা হত্যা মামলায় পাঁচ দিন ও মো. রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় চার দিনের জন্য রিমান্ডে দেওয়া হয়েছে পুলিশের সাবেক এই আইজিকে।