৩ মামলায় দেড় হাজার আসামি

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা, সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা তিনটি দায়ের হয়েছে। তবে হত্যার শিকার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের জানাজা ও দাফন শেষ হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার নিহত সাইফুলের পরিবার পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে। ইতিমধ্যে আইনজীবী সমিতি ও সহকর্মীদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে নিহত সাইফুলের পরিবার।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, ‘চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত ভবনের মূল প্রবেশপথের বিপরীতে রঙ্গম সিনেমা হলের সামনের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর কোতোয়ালীর মোড়ের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।’
তিনি জানান, ‘পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্যকাজে বাধাদান, সংঘাতের মাধ্যমে জনমনে ভীতিসঞ্চারসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের হয়েছে। এছাড়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।’
কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত সোমবার রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘণ্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদীঘির পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় তাÐব চালায় চিন্ময়ের অনুসারীরা। এতে পুলিশের ১০ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩৭ জন।