৩ দিনের রিমান্ডে সেই মতিউর স্ত্রী কারাগারে

1

পূর্বদেশ ডেস্ক

ছাগলকান্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে অস্ত্র মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। তার স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকিকে দুর্নীতির মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে তাকে রিমান্ডে চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের করা আবেদন শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল বুধবার শুনানি শেষে ঢাকার দুটি আদালত পৃথকভাবে এই আদেশ দেয়। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বার্তায় বলেছেন, মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল দুইজনকে আলাদাভাবে আদালতে হাজির করা হয়।
ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জাকির বলেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মতিউরকে আদালতে আনা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানা এসআই রুবেল মিয়া তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নাজমিন আক্তার মতিউরের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার হেফাজতে একটি অস্ত্র থাকার কথা বলেছেন তিনি। পরে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মতিউর রহমান তার বাসার শয়ন কক্ষের কাঠের আলমারী থেকে কালো রঙের কভারের মধ্যে রাখা অস্ত্র এবং গুলি বের করে দেন। অস্ত্রটি বিদেশি শর্টগান। এ কারণে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
তার আগে লায়লা কানিজের রিমান্ড শুনানি তারিখ দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর মোহাম্মদ আলী সালাম বলেন, লায়লা কানিজের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল। আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য রোববার দিন ঠিক করেছে এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে।
গত বছর কোরবানির জন্য ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ইফাত নামের এক তরুণের ১৫ লাখ টাকা দামে ছাগল কেনার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে মতিউর রহমানকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়।
তার আগে ছাগল কিনতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ইফাত। ধানমন্ডির বাসায় ঈদের দিন ছাগলটি কোরবানি দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তখন ছাগলসহ ইফাতের ছবি জুড়ে দিয়ে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন তোলেন- ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কেনার অর্থের উৎস কী?
এ প্রশ্ন ঘিরে সামনে আসতে থাকে ইফাতের পরিচয়। ইফাত নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিসহ পোস্ট দিয়ে ও সংবাদমাধ্যমে বাবার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মো. মতিউর রহমান।