৩৫ পদের ১৩টিই খালি প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগী

2

বাঁশখালী প্রতিনিধি

বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত চিকিৎসকের পদ আছে ৩৫টি। এরমধ্যে বর্তমানে ১৩টিই খালি। ৫০ শস্যার হাসপাতালটিতে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়লেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় কাঙ্খিত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। হাসপাতালটিতে বর্তমানে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন ২২ জন চিকিৎসক। কনসালটেন্ট ও চিকিৎসকসহ খালি পড়ে আছে ১৩টি পদ।
চিকিৎকের অপ্রতুলতার পাশপাশি হাসপাতালের শয্যাসংখ্যাও অনেক কম। ফলে অতিরিক্ত চাপে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সীট না পেয়ে ফ্লোরে-মেঝেতে সিট পাতিয়ে বসছেন। ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিনের হলেও সে দাবি বাস্তবায়ন হয়নি দীর্ঘদিনেও। ফলে এই উপজেলার ৭ লক্ষাধিক মানুষ যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানা গেছে, প্রায় ৭ লক্ষাধিক মানুষের জন্য একমাত্র ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন অতিরিক্তরে রোগীর ভর্তির কারণে অনেকে শয্যা না পেয়ে মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বাঁশখালী হাসপাতালে বেড অকুপেন্সী রেইট ১৪০ শতাংশ। দৈনিক আউটডোর রোগী থাকে গড়ে ৬০৫ জন। প্রতিদিন ছুটির দিন ছাড়া ৭৬৫ জন রোগী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রতিমাসে শুধু বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকেক্সেই চিকিৎসা নেন প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার রোগী। সাব সেন্টার ও কমিউনিটি ক্লিনিক মিলিয়ে প্রতি মাসে এই সংখ্যা দাঁড়ায় অর্ধ লক্ষাধিক।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমা আক্তার জানান, বর্তমানে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালে চিকিৎসকের ৩৫টি পদ থাকলেও ২২ জন চিকিৎসক সেবা দিচ্ছেন। কনসালটেন্ট ও চিকিৎসক পদ খালি ৭টি। তাছাড়া সংযুক্তিতে ৪ জন, ১ জন অনুপস্থিত এবং ১ জন সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। এসব শূন্য পদ পূরণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন ও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই কর্মকর্তা জানান, সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা বাঁশখালীবাসীকে সরকারি সেবা দিতে চেষ্টা করছি। মানুষ এখন প্রাইভেট ক্লিনিক-হাসপাতাল ছেড়ে সরকারি হাসপাতালমুখি হচ্ছে। বিভিন্ন পরীক্ষা ও ওষুধ আমরা ফ্রি সরবরাহ করছি। এতে জনগণ উপকৃত হচ্ছে।
চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, বাঁশখালী হাসপাতালে সেবার মান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ এখন সরকারি হাসপাতালমুখী হচ্ছে। আমরা শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য তাগাদা দিয়েছি। আশা করছি অচিরেই সমাধান হয়ে যাবে।