নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন আগামি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেছেন, ‘এই প্রতিবেদনের আলোকে সরকারের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা যেতে পারে। নির্বাচন কবে হবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জরুরি সংস্কারের বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে এবং সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া উচিৎ’। খবর বিডিনিউজের
গতকাল শুক্রবার এফডিসিতে ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রার্থী ও নাগরিকের ভূমিকা’ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে তিনটি জাতীয় নির্বাচন হয়। এর মধ্যে দশম ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ও মিত্র দলগুলো।
২০১৪ সালের নির্বাচনে সিইসি ছিলেন কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে কে এম নূরুল হুদা, আর ২০২৪ সালের নির্বাচনে সিইসি ছিলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ওই সময়ে যারা ‘নির্বাচনী অপরাধ’ করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবে বিচারের সুস্পষ্ট আইন থাকলেও শপথ ভেঙে যেসব কমিশনার ‘অপরাধে জড়িয়েছে’, কোন প্রক্রিয়ায় তাদের বিচার হবে তা নির্ধারণ করা উচিত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটার তালিকা সংশোধন ও হালনাগাদ করা জরুরি। জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা যেতে পারে। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের স্বার্থে দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধের উপায় বের করতে হবে’।
গত ২১ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বাকি চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব তহমিদা আহ্মদ ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আগামি নির্বাচনে কমিশনের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ ‘থাকবে না’, এর ফলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে করেন বদিউল আলম মজুমদার।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন আয়োজন করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব। যদিও সরকার প্রধান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে তা জনগণ জানতে পারলে ভালো হয়’।