পূর্বদেশ ডেস্ক
দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদকের সংস্কার আনতে কী কী করা যায়, সে বিষয়ে আগ্রহীদের কাছ থেকে পরামর্শ চেয়েছে এ বিষয়ে গঠিত সংস্কার কমিশন। সুনির্দিষ্ট পরামর্শ জানতে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছে তারা। এ জন্য একটি ই-মেইল ঠিকানাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান দুদককে কার্যকর, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবনার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গঠিত দুদক সংস্কার কমিশন সকলের অভিজ্ঞতালব্ধ সুনির্দিষ্ট পরামর্শ জানতে আগ্রহী। দুদক সংস্কারে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ এই ঠিকানায় (ধপপ.ৎপ২০২৪@মসধরষ.পড়স) ৩০ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
অন্তর্বর্তী সরকার বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুদকসহ যে ছয় কমিশন গঠন করেছে, তাতে দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
সাত সদস্য হিসেবে এই কমিশনে আছেন-সাবেক কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (সোয়াস) অর্থনীতির অধ্যাপক মোস্তাক খান, ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন এবং একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি। এই কমিশন ৩ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করেছে। তাদেরকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।