১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ সরকার অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রতিমাসে ৩০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান কার্যক্রম চালু করে। দীর্ঘ ২৫ বছর অতিক্রম করার পর সূর্য সন্তানদের জন্য সম্মানি ভাতা ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত হয়। যা ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত করার ঘোষণাও ইতোমধ্যে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে মোট ৮ হাজার ৪৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা পান। এর মধ্যে মহানগরে ৬২৭ জন এবং জেলার ১৫ উপজেলায় ৭ হাজার ৪১৯ জন।
এদিকে মুজিব বর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার ঘর নির্মাণেরও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসাথে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা ১২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জিটুপি পদ্ধতিতে সরাসরি তাদের ব্যক্তিগত একাউন্টে সম্মানি ভাতা প্রেরণের ব্যবস্থা করেছেন। এর ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঘরে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা করে সম্মানি ভাতা পাচ্ছেন। আর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বৈশাখী ভাতা হিসেবে ২ হাজার টাকা, দুই ঈদে বোনাস হিসেবে ৫ হাজার করে ১০ হাজার, বিজয় দিবসে ৫ হাজার আর স্বাধীনতা দিবসে ৫ হাজার করে সহায়তা পাচ্ছে সূর্য সন্তানরা।
চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ড (অর্থ) বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমাসে ১২ হাজার টাকা সম্মানি ভাতা পান। আর যেসব মুক্তিযোদ্ধা অস্বচ্ছল সরকার তাদেরকে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হয়।
জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে সম্মানি ভাতা পান ৬২৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তালিকায় নতুন নতুন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম যুক্ত হচ্ছে। যাচাই-বাছাই করে অনেককে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তবে গত একবছরে মহানগরের তালিকায় ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা যুক্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতিমাসে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা হিসেবে ১২ হাজার টাকা পান। এছাড়া অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। একসময়ে গণহারে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখানে আসতেন, এখন সপ্তাহে এক কিংবা দুইজন আসেন। আমরা তাদেরকে সবধরনের সেবা প্রদান করি।
একইভাবে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ৭ হাজার ৪১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানিভাতা পান বলেন জানান তিনি।