প্রথম সিনেমা ‘সাবা’ হলেও মুক্তির বিচারে এগিয়ে থাকছে ‘প্রিয় মালতী’। যার মাধ্যমে ২০ ডিসেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এদিন নতুন পালক যুক্ত হবে অভিনেত্রীর এক যুগের সফল ক্যারিয়ারে। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত। সম্প্রতি পেয়েছে সেন্সর সার্টিফিকেট। ইউ গ্রেড পেয়েছে সিনেমাটি, অর্থাৎ সব বয়সীরা দেখতে পারবেন ‘প্রিয় মালতী’। ২০ ডিসেম্বর সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির অন্যতম প্রযোজক আদনান আল রাজীব।
সিনেমায় মেহজাবীনের নাম মালতী রানী দাশ। পলাশ কুমার দাশের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তিনি। দশটা নিম্ন-মধ্যবিত্ত দম্পতির মতো সংসার জীবনের ছোট ছোট স্বপ্ন বুনছিলেন তারা। বিয়ে বার্ষিকী উপলক্ষে নৌকায় ভাসতে ভাসতে কেক কাটা, সন্ধ্যায় একটু ঘোরাঘুরি, মালতীকে অবাক করে দিয়ে পলাশের উপহার দেয়া, স্বামী-স্ত্রীর খুনসুটি– সবকিছুই চলছিল সুন্দর ছন্দে। হঠাৎ একটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনায় সেই ছন্দ কাটে।
‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার শঙ্খ দাশগুপ্ত জানান, সিনেমায় মালতী চরিত্রটি সংগ্রামের। সামাজিক, অর্থনৈতিক, মানসিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয় চরিত্রটিকে। দেশের অনেক নারীর জীবনেই এমন ঘটনা আছে। জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু নিয়মকেও প্রশ্ন করেছেন পরিচালক। এর আগে ওটিটি কনটেন্ট প্রযোজনা করলেও এবারই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা প্রযোজনা করলেন নির্মাতা আদনান আল রাজীব। তিনি বলেন, ‘আমি এক্সাইটেড, আশা করছি আমরা যে কষ্ট করেছি সেটি মানুষ দেখবে। একইসঙ্গে তাদের মন্তব্যটাও জরুরি। যারা সিনেমাটি দেখবেন, তারা একটা অনুভূতি নিয়ে বের হবেন বলে আমি মনে করি। আর সেটা যদি দর্শকদের মধ্যে ইতিবাচকতা তৈরি করে, সেটাই হবে আমাদের সার্থকতা। যারা গল্পের সিনেমা পছন্দ করেন, অনেকদিন প্রেক্ষাগৃহে আসেন না, তাদের জন্য বলতে চাই, আপনারা ছবিটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসেন। হতাশ হবেন না।’
১৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেশের প্রেক্ষাগৃহে অভিষিক্ত হচ্ছেন মেহজাবীন। ১২ ডিসেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, ‘প্রিয় মালতীর সঙ্গে দেখা হবে থিয়েটারে।’