২০১৮ সালে ভোটের দায়িত্বে থাকা ৩৩ ডিসিকে ওএসডি

15

পূর্বদেশ ডেস্ক

একাদশ সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করা তৎকালীন ৩৩ ডিসিকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে; যারা বর্তমানে যুগ্ম সচিব হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের ওএসডি করার আদেশ দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মানসুর হোসেন বলেন, ৩৩ কর্মকর্তাকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত এসব কর্মকর্তা ২০১৮ সালে উপসচিব ছিলেন। তারা ওই বছর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় ডিসি হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালের দশম ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি-জামায়াত ও সমমনারা বর্জন করে। তবে ২০১৮ সালে তারা ভোটে এলেও আগের রাতেই সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ী হওয়ার অভিযোগ ওঠে।
গতকাল বিকালেই তথ্য ও স¤প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এসব কর্মকর্তার বিষয়ে ব্যবস্থা আসছে বলে আভাস দিয়েছিলেন।
পিআইবিতে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের উৎসবের সমাপনি পর্বে তিনি বলেন, যারা বিগত সময়ে ‘ফ্যাসিবাদের’ দোসর ছিল, দুর্নীতিসহ নানান ঘৃণ্য কাজে যুক্ত ছিল, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকার লুন্ঠন করতে সরকার ও প্রশাসনের ব্যক্তি হয়েও জনগণের বিপক্ষে কাজ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই একটা ব্যবস্থা আসবে। একইভাবে সব পর্যায়ে থেকে এই ব্যক্তিগুলোকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে।
সরকারের পালাবদলের প্রেক্ষাপটে গত ৯ ডিসেম্বর দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তিনটি নির্বাচনে নানা অভিযোগের বিষয়ে জানতে ৩০ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ডেকেছিল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
তখন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছিলেন, উনারা (কর্মকর্তারা) ওনাদের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেছেন। উনারা বলেছেন উনাদের তেমন কিছু করার ছিল না। ‘কলকাঠি’ অন্য জায়গা থেকে নাড়ানো হয়েছে।
এক অর্থে বলতে গেলে উনারা অসহায় ছিলেন। তবে যারা নিচের কর্মকর্তা, তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন। তারা মূল কথা বলেছেন আমাদের দেশ একটি ‘পুলিশি রাষ্ট্র’ হয়ে গিয়েছিল।