তিন মামলায় টানা ১৯ দিন র্যাব-পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হলো আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীমকে (জিকে শামীম)। সর্বশেষ মুদ্রাপাচারের মামলায় পাঁচ দিন সিআইডি হেফাজতে ছিলেন জি কে শামীম। জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল রবিবার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ।
অন্যদিকে জি কে শামীমের আইনজীবীরা করেন জামিনের আবেদন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী আসামি জিকে শামীমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান নিয়েছেন।
ক্যাসিনো বন্ধে র্যাবের অভিযানের মধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম; যিনি নিজেকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তার মালিকানাধীন জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫৩টি প্রকল্প ছিল। এসব প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ৪ হাজার ৫৫০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। খবর বিডিনিউজের
গুলশানের নিকেতনে জিকে শামীমের কার্যালয়ে অভিযানে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয়। এরপর অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রা পাচার আইনে তিনটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে তোলা হলে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় জি কে শামীমকে পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। এরপর অস্ত্র মামলায় জি কে শামীমকে আরও চার দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। পরে মুদ্রা পাচার মামলায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় সিআইডি।