১৮ দিনেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি

1

সাতকানিয়া প্রতিনিধি

সাতকানিয়ায় ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আব্দুস সালাম হত্যা মামলা দায়েরের দীর্ঘ ১৮দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এনিয়ে স্বজনদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছেন, সন্দেহজনক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য বেশ কয়েক জায়গাতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও আসামিকে ধরা যায়নি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়,গত ২৪ নভেম্বর ভোর পাচঁটার সময় ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের পথে মসজিদের পথে হাটার সময় উপজেলার উত্তর ঢেমশা ফকির পাড়ার মৃত নুরুজ্জামার পুত্র আব্দুস সালামকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ধারালো ছুরি, ও গাছের লাটি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর মারা যায়। এরপর লাশ ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এঘটনায় সাতকানিয়া থানায় নিহতের ছেলে মো. মোস্তাফিজ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫ তারিখ-০৪/১২/২০২৪ ইং। মামলার এজাহারে ঘটনার আগে গত ২২ নভেম্বর মৌরশী জমি নিয়ে আব্দুস সালামের সাথে তার সৎ ভাই আব্দুল মাবুদের ঝগড়া হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। খবর নিয়ে জানা যায়, ঘটনার পর থেকেই আব্দুল মাবুদ পলাতক রয়েছে। কেরানীহাটে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠাটিও রয়েছে বন্ধ। মামলার বাদি মো. মোস্তাফিজ বলেন, আমার বাবাকে সম্পত্তির লোভে আমার সৎ চাচা আব্দুল মাবুদ খুন করছে বলে আমার ধারনা। তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। উক্ত মামলাটি তদন্ত করছেন ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার ভৌমিক।
জানতে চাইলে প্রশান্ত কুমার ভৌমিক বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর থেকেই আব্দুস সালামকে কারা মেরেছে তা বের করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আব্দুল মাবুদ পলাতক রয়েছে। তাকে ধরার জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য সে বার বার স্থান পরিবর্তন করছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে ঘটনার রহস্য উম্মোচিত হবে। আশা করছি কম সময়ের মধ্যেই আমরা আব্দুল মাবুদকে গ্রেপ্তার করতে পারবো।