১৫ লাখ টাকার ইলিশ লুট

3

পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়ায় ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় ট্রলার থেকে ১৫ লাখ টাকার ইলিশ লুট করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাটাফাঁড়ি খালে সুতাচুরা পয়েন্টে এ ডাকাতি সংগঠিত হয়।
ডাকাতি হওয়া ফিশিং ট্রলারের মাঝি আবুল কালাম বলেন, দশদিন আগে ২৫জন মাঝি ও জেলে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাই আমরা। সাড়ে তিন হাজার পিস ইলিশ ও অন্যান্য কিছু মাছ নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে কুতুবদিয়া চ্যানেলে পৌঁছায়। আমরা মাছগুলো কক্সবাজারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিই। আবহাওয়া খারাপ হলে ভোলাখাল হয়ে কাটাফাঁড়ি নদী পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের পথে ট্রলার চালাচ্ছিলাম। কিন্তু পেকুয়ার সুতাচুরা ও বিলহাচুরা এলাকায় মাতামুহুরি খালের মোহনায় পৌঁছামাত্র ৫০-৬০ জনের একটি ডাকাত দল অস্ত্র নিয়ে আমাদের ট্রলারে হামলা করে সব মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আমাদের ট্রলারের সব জেলেদের পিটিয়ে জখম করে তারা।
এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিলহাচুরা ও মগনামার কিছু চিহ্নিত দুর্বৃত্তের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি ডাকাত দল আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র লাঠি-সোঁটা নিয়ে ফিশিং ট্রলারে হামলা করে। এসময় ট্রলারে থাকা মাঝি ও জেলেদের পিটিয়ে জখম করে সব ইলিশ মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
ফিশিং ট্রলারের মালিক আনোয়ারার কাজেম আলী ট্রলার ডাকাতির খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন পেকুয়ায়। তিনি বলেন, প্রায় পাঁচ লাখ টাকার বাজার করে ট্রলারটি সাগরে পাঠিয়েছিলাম। আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার মাছ ধরে মাঝিমাল্লাররা ফিরেও আসছিলো। কিন্তু ডাকাত দলের খপ্পরে পড়ে সব শেষ। আমরা এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য বলেন, ফিশিং ট্রলার সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নৌ পুলিশ দেখে থাকে। মামলা করতে হলে সেখানেই করতে হবে।