১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উধাও ব্যবসায়ী, মামলা দিয়ে হয়রানি

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ীদের প্রায় ১৫ কোটি আত্মসাৎ করে উধাও হয়ে গেছে অলিদ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী। টাকা চেয়ে উল্টো মিথ্যা মামলা করে হয়রানির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তামাকুমন্ডি লেইন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক আজম। গত রবিবার নগরীর লাভলেইন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিএমইউজের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফারুক আজম বলেন, বিভিন্ন ব্যবসার নামে আমাদের কাছ ২০২৩ সাল থেকে বিভিন্ন দফায় প্রায় ১৫ কোটি নেয় অলিদ হোসেন ও আব্দুল আউয়াল দুই ভাই। টাকা নেওয়ার পর আমাদের চেক প্রদান ও অলিদ হোসেন স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্পও দেওয়া হয়। স্ট্যাম্পে চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে মূল টাকাসহ লভ্যাংশ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত তারিখে টাকা দেওয়ার আগে অলিদ হোসেন দেশ থেকে পালিয়ে নেপাল চলে যায়। আমরা তার ভাই আবদুল আউয়াল থেকে টাকা চাইলে উল্টো আমাদেরকে নানা হুমকি দেয় ।
তিনি বলেন, টাকা না পেয়ে আমরা আমাদের তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে অভিযোগ দাখিল করি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা বৈঠকে আসে এবং অলিদ হোসেন ১৫ কোটি টাকার মধ্যে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল এবং টাকা না দেওয়া পর্যন্ত তাদের দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। তারা সে অনুযায়ী দোকান বন্ধ করলেও হুট করে গত ১০ সেপ্টেম্বর দোকান খুললে তাদের কাছে পাওনা টাকা চাই এবং সমিতির নির্দেশনা অনুযায়ী টাকা না দেওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার অনুরোধ করি। তারা অনুরোধের প্রেক্ষিতে ১৫ সেপ্টেম্বর টাকা দিয়ে দোকান খোলার প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু ওই তারিখে টাকা না দেওয়ায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ এনে আমরা যারা পাওনাদার আছি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করে। আমরা মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই এবং আমাদের পাওনা টাকা ফেরতের দাবি জানাচ্ছি। এতে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মিউনিসিপ্যাল হকার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম, মিজানুর রহমান, মো. আলমগীর, মো. শহিদুল ইসলাম ও আরাফাত হোসেন।