১০ লাখ টন চাল গম আমদানির পরিকল্পনা

1

বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও সরকারি জোগান শক্তিশালী করতে চলতি অর্থবছরে বিশ্ববাজার থেকে ১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানির পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে গতকাল বুধবার সরকারের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, চাল ও গম মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টন আমদানি করা হবে। তবে এটা নির্ভর করবে বোরো ধানের সংগ্রহের ওপর। বোরো ধান যদি আল্লার রহমতে সংগ্রহ করা যায় তাহলে আমদানির পরিমাণ কমবে। আর বোরো উৎপাদন যদি ব্যহত হয় তাহলে আমদানি বেড়ে যেতে পারে। অকাল বন্যার কারণে আউশ ও আমন সংগ্রহে ‘ঘাটতি হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা। খবর বিডিনিউজের
তিনি বলেন, এখন আমাদের সামনে আছে কেবল বোরো মওসুমের সংগ্রহ। আশা করছি বোরোতে ভালো ফসল হলে অমদানি নির্ভরতা অনেক ক্ষেত্রেই কমাতে পারবো। তার জন্য আমরা অপেক্ষা করবো না। কারণ, বোরো এবার দেরিতে বপন করা হয়েছে। কারণ পানি নেমেছে দেরিতে।
আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, দেশীয় জোগানের পাশাপাশি বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি চালু রাখা হবে। এক্ষেত্রে আমদানির জন্র একাধিক দেশ বেছে নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। প্রতিবেশি দেশ থেকে আমদানি করলে সহজে আনা যায়, দামও কম পড়ে। নেইবারিং কান্ট্রিকে আমরা যেমন গুরুত্ব দিচ্ছি। পাশাপাশি অন্যান্য দেশে দাম একটু বেশি হলেও আমরা আমদানি করছি। মাল্টিপর সোর্সকে আমরা সামনে রাখছি।
ইতোমধ্যেই কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি শুরু হওয়ার তথ্য দিয়ে তিনি বলেছেন, গম আমদানি হবে তিন লাখ টন। এর মধ্যে দুই লাখ টন গম রাশিয়া থেকে জিটুজি ডেফার্ড পেইমেন্টে আমদানি করা হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ২২ হাজার টন চাল ইতোমধ্যেই চলে এসেছে। বাকি চাল আসবে ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তান থেকে। আমদানি করা চালগুলোর কেজি ৫৬ থেকে ৬০ টাকা পড়ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা। এবার বোরো মওসুমে ভালো সংগ্রহ হওয়ার আশা করছেন উপদেষ্টা। সেই ক্ষেত্রে বিদেশে থেকে আমদানির পরিকল্পনা আরও ছোট করে আনা হবে বলেও আশা তারা। বোরো সংগ্রহ শুরু হয় ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখে। হাওরের বোরো ধান প্রথমে আসে। মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত যদি সময় পাওয়া যায় (আগাম অতিবৃষ্টি না হয়) তাহলে হাওরের ফসলটা শতভাগ উঠে যায়। হাওরে ২৫ লাখ টন পর্যন্ত ধান উৎপাদন হতে পারে।