বিদেশ থেকে আগত সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যদি কেউ এর ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে সংক্রমণ ব্যাধির আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা করা হবে। পাশাপাশি নিশ্চিত করা হবে এদের শাস্তি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে সমন্বিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে ১৭০টি দেশ আক্রান্ত। এই দেশগুলি থেকে আগতদের অনেকে বিমানবন্দরে প্রথমিক চিকিৎসা না নিয়ে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। তাদের চিহ্নিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আক্রান্ত দেশ থেকে ফেরত সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারান্টাইনে থাকাকালীন তাদের যদি করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন হলে আইইডিসিআর-এর হটলাইনে যোগাযোগ করতে হবে। খবর বাংলানিউজের
গত দুই মাস আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা কমিটি গঠন করেছি। ইতোমধ্যে দেশে ১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। হয়তো দেশে আরো রোগী থাকতে পারে। দেশে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমাদের সর্তকতা আরো বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও যদি কোনো শিক্ষার্থী বাইরে ঘোরাফেরা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বর্ধন জং রানাসহ অধিদপ্তরের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।