হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নাকি প্রতিশোধ

11

সুরেশ কুমার দাশ

প্যালেস্টাইন ইস্যুতে ইসরাইল ইরানের মুখোমুখি অবস্থানের মধ্যে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাবদুল্লাইহিনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ব শোকাভিভূত, একই সাথে এমন ঘটনায় বিস্ময়ের পাশাপাশি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। হেলিকপ্টারটিতে থাকা ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রাদেশিক গভর্নরসহ অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বেল-২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টারের আরোহী ছিলেন। যদিও প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অপর দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছলেও বিধ্বস্ত হয়েছে প্রেসিডেন্টের কপ্টারটি। যেটির গন্তব্য ছিল পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজ।
গতকাল রোববার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী আরাস নদীর ওপর একটি বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তে গিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। সেখান থেকে কপ্টারটিতে চড়ে ফেরার সময় এটি দুর্যোগপূর্ণ কুয়াশার কবলে পড়ে বিধ্বস্ত হয়।
সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পর ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ হেলিকপ্টারের আরোহীদের সবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
৬৩ বছর বয়স্ক রাইসি দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় প্রথমবার ২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
প্যালেস্টাইন নারী ও শিশুসহ প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষের গণহত্যার ইস্যু নিয়ে ইরান ইসরাইল সম্পর্ক যখন উত্তপ্ত ইরানের প্রেসিডেন্টের এই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে। অনেকে রাইসির মৃত্যুতে ‘ছোট শয়তান’ ইসরায়েলের হাত থাকার ইশারাইঙ্গিত করছেন। তাতে মোসাদ জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলের সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে গুজবও ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে রয়টার্সের কাছে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জবাবদিহিও করতে হয়েছে।
আর এমন সময়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটেছে যখন ইরান ও ইসরায়েলের সম্পর্ক ঘোর শক্রতায় নিমজ্জিত।
কারণ অতি সম্প্রতি ইতিহাসে প্রথমবারের মত ইসরাইলের উপর ইরানের নজিরবিহীন ড্রোন ও ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এজন্য ইরাক ইয়েমেন ও সিরিয়া থেকেও হামলা চালায় তারা। হামলা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ‘জর্ডান ও ফ্রান্স ইসরাইলকে সহায়তা করে। পরে প্রতিশোধের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে ইসরাইল।
এপ্রিলে শুরুতে যখন সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডারসহ অন্তত ১৩ জনকে হত্যা করে ইসরাইল। এর পর থেকেই পাল্টা প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠে ইরান। কঠোর প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞার কথা জানান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি ও তার দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলের ভূখন্ডে শত শত ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। নজিরবিহীন এই ঘটনায় ভয়াবহযুদ্ধ ছড়ানোর শঙ্কায় ছিল পুরো বিশ্ব। তারা স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় নিন্দা জানান জাতিসংঘের মহাসচিব, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ঋষি সুনাক সহ বিশ্ব নেতারা। প্রকাশ্য হুমকির মধ্যে এর জবাব দেওয়ার জন্য ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইস্পাহান শহরের কাছে একটি পারমাণবিক স্থাপনার সুরক্ষায় নিয়োজিত রাডার ব্যবস্থা লক্ষ্য করে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এমন হামলাকে ইসরায়েল তাদের সক্ষমতার প্রকাশ ও ইরানকে জানান দেয়ার লক্ষ বলে তুলে ধরে। অর্থাৎ কি রকম হামলা চালাতে সক্ষম সেটা বুঝিয়ে দেয়। একই সাথে ইসরায়েল পরিস্থিতি আর উত্তপ্ত করতে চাইছে না বলেও জানিয়েছিল। কিন্তু ইরান তাদের প্রতিক্রিয়া ইস্ফাহান শহরে এ ধরনের হামলার কথা অস্বীকার করেছিল এবং তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথাও অস্বীকার করেছিল ইরান। এরপরও বিশ্ববাসী আশ্বস্থ হয়েছিল দুই পক্ষের রেষারেষির আপাত অবসান হয়েছে মনে করে। কিন্তু প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে এই খেলা আসলে কোথায় গিয়ে গড়ায়- সেটাই এখন সন্দেহের মূলে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু সেই পরিস্থিতির প্রকাশ্য কোনো আলামত না থাকলেও অপ্রকাশ্যে অনেক প্রশ্ন সামনে আসছে। যেমনটি উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি আক্রমণ প্রতি আক্রমণের অনেক ঘটনাই গোপন থাকার বিষয়ও থাকে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট বহরের তিনটি হেলিকপ্টারের মধ্যে শুধু প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারটি কুয়াশার বিপর্যয়ে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। অর্থাৎ যেখানে প্রেসিডেন্টের কপ্টার চালক অন্য যেকোনো চালকের চেয়ে দক্ষতার পরিচয় দেওয়ার কথা সেখানে প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারটিই বিধ্বস্ত হয়েছে। যা থেকে ইসরায়েলের টার্গেটের কথাই সন্দেহে আসে। কারণ বহরের অন্য দুইটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে আজরবাইজান প্রদেশের রাইসা নদী তীরবর্তি আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ থাকলে বা গোলযোগ দেখা দিলে প্রেসিডেন্টের মত একজন রাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি সেখানে যাওয়ার কথা নিশ্চয়ই সেখানকার আবহাওয়া পরিস্থিতির বার্তা আগে থেকেই প্রেসিডেন্টের কাছে ছিল। সেই তথ্যের আলোকে কিংবা আবহাওয়া বার্তা যাচাই করেইতো একজন প্রেসিডেন্টের ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা। আর তার ফিরে আসার পথে পাহাড়ি অঞ্চলে যে আবহাওয়া বিরূপ হয়ে উঠতে পারে সেই বার্তা- পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারকারী একটি দেশের প্রেসিডেন্টের ওয়াকিবহাল না থাকার কথা নয়। কারণ রাষ্ট্রের প্রধান যেখানে সফরে যাবেন সেখানে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম সব পরিস্থির নিখুঁত, চুলছেঁড়া পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়। আর রাইসির কপ্টার দুর্ঘটনার পর সেখানকার আবহাওয়া এত দীর্ঘ সময় ধরে বিরূপ থাকার কারণই বা কী। যদিও সেই দুর্যোগপূর্ণ আবহওয়ার কোনো রিপোর্ট বিস্তারিত কোথাও চোখে পড়েনি। আর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধারকার্যক্রমে করতে প্রায় অর্ধদিনব্যাপি সময় লেগেছে। কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম আর একটা বিষয় লক্ষণীয় করেছে যে- রাইসির হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। যেটি ইরানের শাহ শাসনের সময়ের হেলিকপ্টার বলা হচ্ছে। একটি রাষ্ট্রের সরকার প্রধানের হেলিকপ্টার নতুন নাকি পুরনো যাচাই বাছাইয়ের বিষয়টি ইরানের মত একটি রাষ্ট্র সাধারণভাবে নেওয়ারও সুযোগ নেই।
আর দুর্ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট গাড়িতে ছিলেন বলেও জানানো হয়েছিল সেদেশের কিছু পত্রপত্রিকায়। এছাড়া দুর্ঘটনার আগে টেলিফোন সঙ্কেতও দেওয়া হয়েছিল।
যাই হোক এরমধ্যে এই দুর্ঘটনা মেনে নিয়েছে ইরান। সাংবিধানিকভাবে নতুন প্রেসিডেন্টের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। আর কারো বিরুদ্ধে কোনো আঙ্গুল তুলেনি এখনো পর্যন্ত কেউ।
আঙ্গুল তোলা আর না তোলা এক কথা, আর ইরান যদি মার খেয়ে মার হজম করে, থাকে সেটা ভিন্ন কথা। আসলে কি ঘটেছে ইরানই ভালো জানে। কিন্তু এই পর্যন্ত ইসরায়েল, আমেরিকা বনাম ইরান দ্বন্দ্বে একক রাষ্ট্র হিসাবে ইরানকে ব্যাপক মূল্য দিতে হয়েছে। শত্রুরা চেপে বসেছে তার উপর। যদিও এই ঘনঘটার সাথে ইরানের পারমাণবিক বিষয়টি আছে। এর মধ্যে সম্পদহানি ছাড়াও হত্যার শিকার হয়েছে বড় বিজ্ঞানী ও অনেক সামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা।
এরমধ্যে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে যে ঘটনা ঘটে তা ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সকল দলিলপত্র চুরি করে ফেলে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। যেসব কাগজপত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতেও পৌঁছে। কিন্তু এতবড় চুরির পর ইরান বলেছিল এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। বরং বলেছিল ইসরায়েলের চুরি করা দলিলপত্র জাল।
ইসরাইলের চুরি করা এই দলিলপত্র ছিল ইরানের গোপন পরমাণু কর্মসূচি যার কর্তাব্যক্তি ছিলেন বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিযাদে।
যাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মোসাদ তেহরানের উপকণ্ঠে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে বলে তথ্য আছে। এত ব্যস্ততম এলাকায় এআইর নিখুঁত নিশানায় অন্য কোনো বেসামরিক নাগরিকও হতাহত হয়নি।
কিন্তু যখন ওই পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছিল তখন সেই স্পটেই ছিল ইসরায়েল গোয়েন্দার ইরানি এজেন্ট। যারা ইরানের বিভিন্ন সেনাবাহিনীতে কাজ করলেও কেউ কেউ ইসরাইলকে দ্রæততর খবর দিয়ে সহায়তা করেছে বলে পত্রপত্রিকার খবরে আসে। এভাবে ইরানের সাতজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করে মোসাদ। এভাবে মোসাদের টার্গেট কিলিংয়ে বিভিন্ন দেশের আরো দুই হাজার সাতশ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে তথ্য আছে।
একই রকম দ্রæততায় রকেট হামলা চালিয়ে ইরানের আল-কুদস ফোর্সের প্রধান ও বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানী যাকে শুধু ইরানের নয় আরববিশ্বের বীর বলা হত তাকে হত্যা করে আমেরিকা। তার সঙ্গে ইরানের মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল মুহানদিসকেও হত্যা করা হয়। এই প্রতিশোধ নিতে পাঁচদিন পর ইরান ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায় ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে। যাতে অন্তত অর্ধশতাধিক মার্কিন সেনা আহত হয়। এরপর কাসেম সোলাইমানীর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসীরা ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানির কবরের কাছে দুটি বিস্ফোরণ ঘটায়,যেখানে কমপক্ষে ৮৪ জনকে হত্যা করেছিল,একটি সুন্নি সন্ত্রাসী গোষ্ঠি জাইশ আল-আদল ১১ ইরানি পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল। ইরানের উপর শত্রুপক্ষের এমন প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে হামলার বহু নজির আছে।
আর কেনই-বা টার্গেট করা হতে পারে রাইসিকে- কারণ ৮৪ বছর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির বিশেষ আস্থাভাজন হচ্ছে রাইসি। গত নির্বাচনে যার বিজয়ের ব্যাপারে কারচুপির অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। যাকে জিতিয়ে আনতে সহায়তা করেছিলেন আলী খামেনি। যাকে খামেনির ভবিষ্যত শিষ্য ভাবা হচ্ছিল। যে রাইসিও একজন কট্টরপন্থি।
তার মন্ত্রগুপ্তিতে ১৯৮৮ সালে ইরানে হাজার হাজার বিরোধী রাজনীতিকদের রাইসি বিচারক থাকাকালীন গোপন ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির সাজা দিয়েছিলেন। ২০২২ সালে পুলিশ হেফাজতে মাহা আমিনীকে মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদী আন্দোলনকারীদের উপর ভয়ঙ্কর ক্র্যাকডাউনের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। মূলত এই বিচারকের গুণপনায় মুগ্ধ ছিলেন খামেনী। খামেনির শাসন ব্যবস্থার ভবিষ্যত স্তম্ভ ছিলেন রাইসি। এসব জেনেবুঝেই নানা চক্রান্তে প্রেসিডেন্ট রাইসির শত্রুতা আরো বেড়েছিল গত কয়েক বছরে। সুতরাং ৮৪ বছরের খামেনির চেয়ে ৬০ ঊর্ধ্ব রাইসি দীর্ঘ পথের যাত্রাই শেষ করতে চাইবে শত্রুপক্ষ।
আর ইতিহাসে এরকম আকাশ ভ্রমণে বিখ্যাত যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের সাথে এটার তুলনা হয়না।
আর ষড়যন্ত্রের কথা আমলে নিলে রাশিয়ার প্রিগোশিনের মৃত্যুর ঘটনায় দৃষ্টি ফেরানো যায়। প্রিগোশিনের বিদ্রোহ এবং পরবর্তিতে পুতিনের সাথে সম্পর্ক পুননির্মাণ। সেখান থেকে বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোশিনের মৃত্যু। অনেকে মনে করেছেন খুব দ্রুততার সাথে প্রিগোশিনের অধ্যায় রাশিয়ার সমসাময়িক ইতিহাস থেকে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন পুতিন। কারণ যে ঘটনা প্রমাণ করা দুরূহ তা ঘটিয়ে নিশ্চিন্তই থাকা যায়। যখন তা দুর্ঘটনা বলে চালানো সহজ। আর তেমন ধরনের ‘কিছু দুর্ঘটনা’ আপাতত ইরানের জন্যও ঝুঁকি কমে। এতে হজম করাও সহজ হবে। কারণ যুদ্ধে যুদ্ধে সর্বস্ব হারালে পরবর্তি যুদ্ধ সহজ হবে না। এরমধ্যে তাদের কাসেম সোলাইমানীর মত বীরের মৃত্যুও রাইসির চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। এভাবে ইরানের হারানোর পাল্লা অনেক ভারী। যা বিয়োগব্যথা হিসাবে আরো ভারী।

লেখক : সাংবাদিক