হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে কফিনবন্দি নোমান

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের মরদেহ চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা থেকে তাঁর মরদেহবাহী হেলিকপ্টারটি চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। আজ তাঁর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।
গতকাল দুপুরের পর থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজারো মানুষ স্টেডিয়ামে আসতে থাকেন। মরদেহ নিয়ে হেলিকপ্টারটি অবতরণের পরপরই নেতাকর্মী ও অনুসারীদের ব্যাপক ভিড় জমে।
স্টেডিয়ামে থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কাজির দেউড়ি এলাকায় ভিআইপি টাওয়ারে আব্দুল্লাহ আল নোমানের বাসভবন প্রাঙ্গণে। সেখানেও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড় দেখা যায়।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মরদেহ রাখা হবে। এরপর সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নসিমন ভবন মাঠে মরদেহ রাখা হবে নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
এরপর দুপুর ১টায় মরদেহ জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বাদ জুমা বেলা আড়াইটায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আসর রাউজানের গহিরা স্কুল মাঠে মরহুমের শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ গহিরায় পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল্লাহ আল নোমানকে দাফন করা হবে।
গত ২৫ ফেব্রæয়ারি ভোর ৬টায় রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় ইন্তেকাল করেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। তাঁর মৃত্যুর খবরে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে বিএনপি ও রাজনৈতিক মহলে এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁর সহকর্মী ও সমর্থকরা।
নোমানের মরদেহ চট্টগ্রামে আনার পর থেকে সর্বস্তরের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি তাঁর প্রতি মানুষের অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রমাণ দিচ্ছে। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছেন সর্বস্তরের মানুষ।