চট্টগ্রামের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, একসময় উন্নত বিশ্বের রোগ ছিল হৃদরোগ। এখন আমাদের মতো দেশগুলোয় এই রোগের ঝুঁকি বেড়েছে। চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। বংশগত কারণ ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, পরিশ্রম কম করা, অনিয়মিত খাবার, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি নানা কারণে হৃদরোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। উপরের প্রতিটি কারণকে পরিবর্তন বা সংশোধন করে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব। হৃদরোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় হলো সুশৃঙ্খল জীবনযাপন এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভাস। গতকাল সোমবার বিশ্ব হার্ট দিবস চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল হার্ট এন্ড ভাসকুলার সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা বলেন, নিয়মিত ব্যায়াম করা, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা, কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং পরিমিত ওজন বজায় রাখা হলো হৃদরোগ প্রতিরোধের কিছু জীবনধারার ব্যবস্থা। হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের কর্মদ্যোগ বাড়াতে হবে। কর্মদ্যোগ বাড়লে আমাদের হৃৎপিন্ড ভালো থাকবে। আর হৃৎপিন্ড যদি ভালো থাকে তাহলে আমাদের হৃদয় ভালো থাকবে, হৃদয় ভালো থাকলে পুরো শরীর ভালো থাকবে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল হার্ট সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ডা. ইরফান চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হৃদরোগ বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রবীর কুমার দাশ, চেয়ারপার্সন ছিলেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ কে এম ফজলুল হক। উপস্থিত ছিলেন মনোরাগ বিশেষজ্ঞ ডা. অধ্যাপক শফিউল হাসান। সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের চীফ কার্ডিওভাসকুলার সার্জন ডা. সারওয়ার কামাল ও চীফ কার্ডিওলজিস্ট ডা. আবদুল মোত্তালিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর ডা. মুজিবুল হক সহ চিকিৎসকরা। বিজ্ঞপ্তি