পূর্বদেশ ডেস্ক
সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে হেনস্তা করার ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ‘শৃঙ্খলাবিরোধী ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। বিএনপির অবস্থান ‘মব’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল সোমবার সালাহউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আদালতের রায় বাস্তবায়ন হবে, বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকবে। খবর বিডিনিউজের।
জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে বিএনপির করা মামলার আসামি হওয়ার ছয় ঘণ্টা পরই কথিত জনতা রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার বাসা থেকে আটক করে সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে। আটকের সময় কথিত জনতা নূরুল হুদার ওপর চড়াও হয়। তারা বাসায় ঢুকে সাবেক সিইসিকে অপদস্থ করে। ওই সময় কথিত জনতার মধ্যে থাকা কেউ কেউ ফেসবুকে লাইভও করেন।
এমন একটি লাইভে দেখা যায় নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন এক ব্যক্তি। তার গেঞ্জির কলার ধরে রেখে বক্তব্য দিতে দেখা যায় ওই ব্যক্তিকে। এসময় ওই ব্যক্তির পাশে পুলিশের পোশাক পরা একজনকে দেখা যায়।
পরে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানার একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগেই ‘মব’ তাকে যথেষ্ট হেনস্থা করে ফ্ল্যাট থেকে নামিয়ে আনে।
সাবেক সিইসির বিচার পক্রিয়া নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, তার গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া এবং তার বিচার প্রক্রিয়ায় আইনগতভাবে যথাযথভাবে পরিচালিত হবে এটা তারা প্রত্যাশা করেন।
তবে তার ওপরে যে অবমাননাকর ব্যবহার করা হয়েছে এটা আমরা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির যেকোনো নেতা-কর্মী এই ঘটনায় জড়িত থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন (শৃঙ্খলাবিরোধী ব্যবস্থা) আমরা নেব। এটা আমাদের (বিএনপি) অবস্থান।
সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা চাই, কোনো ব্যক্তি যতবড় অপরাধীই হোন না কেনো তার আইনি এবং সাংবিধানিক অধিকার যেন ভোগ করার অধিকার অক্ষুন্ন থাকে।
নূরুল হুদার ‘দলীয়করণের’ সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে ধবংস করার জন্য এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করার জন্য যে কজন ব্যক্তি দায়ী তার মধ্যে নূরুল হুদা ‘অন্যতম’।
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য কয়েকটি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি কুলষিত এবং ধবংস করার জন্য আরও কয়েকজন ব্যক্তি দায়ী। যেমন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক।
বিএনপি কখনোই এ ধরনের অপসংস্কৃতিতে ‘বিশ্বাস করে না’ বলে জানিয়েছেন তিনি।