হিজরি নববর্ষ উদযাপন রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও কিছু সংস্কৃতিসেবীর উপেক্ষা আর নয়

2

আ ব ম খোরশিদ আলম খান

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, ২১ ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১০ মহররম পবিত্র আশুরা, ১৪ শাবান শবে বরাত, ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.), ১ বৈশাখ বাংলা নববর্ষ এদেশে রাষ্ট্রীয় দিবস হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বেশ ঘটা করে পালিত হয়ে আসছে। উক্ত দিনগুলোতে সরকারি ছুটি থাকে। তবে আশুরা এবং ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) দিবসে সরকারি ছুটি থাকলেও দিবস দুটিতে সরকারি তেমন বড় কোনো কর্মসূচি থাকে না। কেবল গণমাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী প্রদানে সীমাবদ্ধ থাকে ধর্মীয় উক্ত দিবস দুটি। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) যথাযথ মর্যাদায় পালনেও নিস্পৃহ থাকেÑযা এদেশের কোটি কোটি ঈমানদার নবীপ্রেমী মুসলমানদের দ্বীনি চেতনার প্রতি ইচ্ছাকৃত অবজ্ঞা-উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়। আরো দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক যে, দীর্ঘকাল ধরে এদেশে ১ বৈশাখ বাংলা নববর্ষের দিনে সরকারি ছুটি থাকলেও ১ মহররম হিজরি নববর্ষে রাষ্ট্রীয় ছুটি নেই। দিনটি পালনে সরকারি উদাসীনতা বছর বছর ধরে চলে আসছে। অথচ ৮৫ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে ১ মহররম হিজরি নববর্ষ পালনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উদাসীনতা ও নিস্পৃহ ভূমিকা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। এক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতিসেবী কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীদের দায়ও কম নয়। উনারা বাংলা নববর্ষ, বৈশাখী মেলা, নবান্ন উৎসব, বর্ষা উৎসব ইত্যাদি পালনে যতটা আগ্রহী ও সক্রিয় এর বিপরীতে তার চেয়েও বেশি উদাসীন ও নিস্পৃহ হিজরি নববর্ষ পালনে। অথচ হিজরি সন ও হিজরি নববর্ষের সঙ্গে মুসলমানদের নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য ও গৌরব জড়িয়ে আছে। হিজরি সন বিশ্বের দুইশ কোটি মুসলমানের নিজস্ব সন। তাই হিজরি সন আন্তর্জাতিক সন হিসেবে গণ্য হওয়ার উপযুক্ততা রাখে। কিন্তু এই হিজরি নববর্ষ প্রতি বছর আমাদের মাঝে আসে। আবার অনেকটা অগোচরে চলে যায়। আমাদের সরকার বলুন কিংবা কবি সাহিত্যিক সংস্কৃতিসেবীদের কথাই বলুন হিজরি নববর্ষ পালনে কারো তেমন সক্রিয়তা-মনোযোগিতা চোখে পড়ে না। উনাদের এই নীরবতা ও উদাসীনতা চোখ বুজে আমরা আর কতকাল মেনে নেবো? হিজরি নববর্ষ উদযাপনে উনাদের ঘুমন্ত চেতনা জাগবে কবে?
আরো দুঃখজনক যে, বিগত বছরসহ নানা সরকারের সময়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) শব্দ দুটি থেকে ‘ঈদে’ শব্দটি ছেঁটে ফেলার দুঃসাহস দেখিয়েছে নবীবিদ্বেষী চক্রটি। যদিওবা ওরা নবীপ্রেমীদের চাপে বারবার পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের এদেশে ১ বৈশাখ বাংলা নববর্ষ এবং ১ জানুয়ারি খ্রিস্টীয় নববর্ষ নানা মহল থেকে সাড়ম্বরে পালন করা হয়। এমনকি ১ জানুয়ারি তথাকথিত থার্টি ফার্স্ট নাইটের নামে উচ্ছৃঙ্খল বিপথগামী যুব তরুণরা বিকৃত আবেদনময়ী স্থূল উৎসবে-আনন্দে মেতে ওঠে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায়, চট্টগ্রামে এবং পর্যটন শহর কক্সবাজারে যে ধরনের বিকৃত উন্মাদনায় থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করা হয়, একে সুস্থধারার গ্রহণযোগ্য সংস্কৃতি বলা যায় না। এটি অবশ্যই অপসংস্কৃতি। ভিনদেশি আমদানি করা এই অপসংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের সংস্কৃতির বিরাট তফাত রয়েছে। লাগামহীন উদ্যমতা, বেলাল্লাপনা, অশ্লীলতা ও শারীরিক বিকৃত উপস্থাপনা ইসলামী সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণ বেমানান। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইটের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে হিজরি নববর্ষ উদযাপনের মতো সুস্থধারার মননশীল নির্মল ইসলামী সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করা দরকার। শুধু চট্টগ্রাম নয়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরে এবং জেলায় জেলায় হিজরি নববর্ষ উদযাপনের উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য বিশেষভাবে চাই সুন্নি সংগঠক, কবি সাহিত্যিক, সমমনা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং উলামা মাশায়েখের সবিশেষে উদ্যোগ।
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। ১ মহররম হচ্ছে হিজরি নববর্ষ। হিজরি বর্ষ পালনে দীর্ঘদিনের উদাসীনতা ও নীরবতা ভেঙে চট্টগ্রামেরই কিছু ইসলামী রাজনীতিক ও উদ্যমী সাংস্কৃতিক সংগঠক এগিয়ে এসে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। হিজরি নববর্ষ উদযাপনে রাষ্ট্রীয় অবহেলা এবং কিছু কবি সাহিত্যিক সংস্কৃতিসেবীদের ইচ্ছাকৃত উপেক্ষা-অবজ্ঞা যেমন আছে, তেমনি একরাশ হতাশা ও আক্ষেপের মাঝেও ভালো খবরও আছে। যা এখানে তুলে ধরা প্রাসঙ্গিক মনে করি। ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এবং হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ হিজরি নববর্ষ উদযাপনে অসামান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেÑএটাই বাস্তবতা, এটাই ইতিহাস। ২০১০ সনের ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের ডিসি হিলে সারা দেশে প্রথমবারের মতো বড় আয়োজনে হিজরি নববর্ষ পালন করে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলা। এর পরের বছর ২০১১ সনের ২৭ নভেম্বর হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ নামে একটি ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে ডিসি হিলে দ্বিতীয়বারের মতো হিজরি নববর্ষ উদযাপন করা হয়। চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানেও একাধিকবার হিজরি নতুন বছর বরণে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এবারসহ ১৬ বছর ধরে হিজরি নববর্ষ বেশ সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়ে আসছে। হামদ, নাতে রাসূল (দ.), গজল, কাউয়ালি, মরমী, মাইজভাÐারী গানসহ নানা গান ও উজ্জীবনধর্মী সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে হিজরি নববর্ষ বরণে এগিয়ে আসছেন বিভিন্ন ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠনের শায়ের ও খুদে শিল্পীরা। বিগত বছরগুলোতে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, গবেষক, উলামা মাশায়েখ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণ হিজরি বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ও আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। এমনকি খ্যাতিমান কবি প্রয়াত আসাদ চৌধুরীও বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
আমি দৈনিক আজাদীতে ২০০৫ সন থেকে কুড়ি বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় আছি। তবে করোনার সময় ২০২০ সনের ২২ আগস্ট থেকে এক বছর চার মাস চাকরি স্থগিত ছিল)। ২০১০ সনের আগে চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী বা পূর্বকোণ পত্রিকায় হিজরি নববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পৃষ্ঠায় গুরুত্বসহ কোনো নিউজ ছাপা হতে আমি দেখিনি। বিশেষ করে ২০১০ সনের পর সম্ভবত ২০১১ সন থেকে এবং এর পর থেকে লাগাতার প্রতি বছর দৈনিক আজাদীর প্রথম পৃষ্ঠায় ১ মহররম হিজরি নববর্ষের নিউজ গুরুত্বসহ ছাপা হচ্ছে। আজাদীর দীর্ঘদিনের সহ-সম্পাদক বন্ধুবর কাশেম শাহ (এখন আজাদীতে নেই) স্বনামেও বহু বছর হিজরি নববর্ষের নিউজ প্রকাশ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ঢাকার দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ভূমিকাও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। পত্রিকাটিতে ইসলামী লেখা প্রাধান্য পেয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, আজাদী, পূর্বকোণ, পূর্বদেশ, সুপ্রভাত, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ, দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকায়ও ২০১০ সনের পর থেকে হিজরি নববর্ষে প্রথম পৃষ্ঠায় এবং সম্পাদকীয় পাতায় একাধিক বিশেষ লেখা সবিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করা হচ্ছে। বহু আগে থেকেই মহররম মাসে মাসিক তরজুমানে আহলে সুন্নাতে হিজরি নববর্ষ ও হিজরতের ওপর নানা গবেষণাধর্মী লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছে। আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকাশিত তরজুমানের প্রকাশনা শুরুই হয়েছে মহররম মাসে, আজ হতে ৪৭ বছর আগে। এ বছর মহররম মাসে মাসিক তরজুমান ৪৭ বছরে পদার্পণ করছে। আজ হিজরি নববর্ষ উদযাপনে যে বিপুল সাড়া জাগিয়েছে এই কৃতিত্বের দাবিদার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্ট এবং হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদ। এই সংগঠন দুটির দায়িত্বশীলরা হিজরি নববর্ষ উদযাপনের পথ দেখিয়েছে বলেই সারা দেশে না হোক অন্তত চট্টগ্রামের পত্রপত্রিকা তথা গণমাধ্যমে হিজরি নববর্ষে বিশেষ নিউজ ও লেখা প্রকাশ পাচ্ছে। হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের দায়িত্বশীল সংগঠকরা এবং আমাদের সুন্নি ঘরানার লেখকরাই মূলত এ ধরনের লেখাগুলো প্রতি বছর লিখে আসছেন। এ পর্যন্ত প্রতি বছরই আমাদের মুখপত্র ‘হিজরি’ স্মরণিকার ১২/১৩টি সংখ্যা প্রকাশ বড় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। বিদগ্ধ লেখকদের লেখালেখির মাধ্যমে হিজরি প্রসঙ্গ, হিজরতের গুরুত্ব ও ইতিহাস, হিজরি নববর্ষ উদযাপনের বিষয়গুলো বেশ ফোকাস হচ্ছে। যা সময়ের দাবির নিরিখে প্রাসঙ্গিকই বলা চলে। আশা করা যায়, একদিন ঢাকাসহ সারা দেশে হিজরি নববর্ষ সোৎসাহে বিশেষ আগ্রহ উদ্দীপনায় পালনে এগিয়ে আসবেন আরো অনেকেই।
আমরা আশা করবো, হিজরি নববর্ষ রাষ্ট্রীয় আয়োজনে পালিত হোক অন্তত এ বছর থেকে। দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষিত হোক। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশের পত্র পত্রিকাগুলো হিজরি নববর্ষে নানা লেখা প্রকাশসহ টিভি চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচারের উদ্যোগ নিক। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করুক। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ সবার বাণী স্থান পাবে এই প্রত্যাশা থাকলো। হিজরি নববর্ষ উদযাপনে আমাদের সাংস্কৃতিক সংগঠক, কবি সাহিত্যিক গবেষক সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের চৈতন্যোদয় ঘটুক-এই কামনা।
হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের মুখপত্র ‘হিজরি’ স্মরণিকায় ২০২২ সনে প্রকাশিত আমার একটি লেখায় আমি একটি তথ্য পেশ করেছিলাম। তা পাঠককুলকে জানাতে এবং সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে এখানে পুনরুল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি। গাউসে জমান আওলাদে রাসূল (দ.) আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ.) এর নির্দেশে ১৯৭৪ সনে চট্টগ্রামে ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে ‘আজিমুশ্বান জশনে জুলুস’ বের করা হয়। ১৯৭৪ এবং ৭৫ সনে দুই বছর এই জশনে জুলুসের নেতৃত্ব দেন হুজুর কেবলার (রহ.) প্রধান খলিফা আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী (রহ.) । আর ১৯৭৬ সন থেকে টানা ১৯৮৬ সন পর্যন্ত ১০ বছর সশরীরে উপস্থিত থেকে জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন আওলাদে রাসুল (দ) রাহনুমায়ে শরিয়ত ও তরিকত আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (রহ.)। এই জুলুস আজ বড় বর্ণাঢ্য রূপ পেয়েছে। বেশ সাড়া জাগিয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে। জশনে জুলুসের সূচনার জন্য চট্টগ্রাম ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে।
অন্যদিকে গাউসে জমান কুতুবুল আউলিয়া আল্লামা সৈয়দ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার তিন দশকের সফল অধ্যক্ষ খতিবে বাঙাল আল্লামা মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আলকাদেরী (রহ.) চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ১৯৮৬ সন থেকে মহররম মাসে আহলে বায়তে রাসুল (দ.) স্মরণে ১০ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল আয়োজনের মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আজ জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব তথা খতিবে বাঙাল হুজুর (রহ.) বেঁচে নেই। কিন্তু তাঁর প্রতিষ্ঠিত শাহাদাতে কারবালা মাহফিল এ বছর (২০২৫ সনে) ৪০ তম মাহফিল হিসেবে ২৭ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
লাখো লাখো নবীওলীপ্রেমীদের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামে আজিমুশ্বান জশনে জুলুস, ১ থেকে ১০ মহররম পর্যন্ত চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্লাজায় আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল এবং সব শেষে ২০১০ সন থেকে চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে হিজরি নববর্ষ উদযাপন সত্যিই চট্টগ্রামকে মহিমান্বিত করেছে। এ ধরনের মহত্তর আয়োজনে সম্পৃক্ত ও সহযোগিতাকারী সকলই ধন্যবাদার্হ। তাঁরা ইতিহাসের গর্বিত অংশীদার হয়ে থাকবেন। ভারতের তাত্তি¡ক নেতা মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে আবারো বলছি ‘চিটাগাং টু দ্য ফোর’Ñ (ঈযরঃঃধমড়হম ঃড় ঃযব ভড়ৎব) ‘সবার আগে চট্টগ্রাম’।

লেখক : সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক