লেবাননের হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহর পর এবার গোষ্ঠীটির আরেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। তার নাম নাবিল কাওউক। শনিবার বৈরুতের দাহিয়েহ শহরতলীতে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এর বিমান হামলায় নিহত হন কাওউক। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গতকাল রোববার সকালে একথা জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
আইডিএফ জানায়, নাবিল কাওউক হিজবুল্লাহর প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন। পাশাপাশি হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় পরিষদের উর্ধ্বতন সদস্য ছিলেন তিনি। হিজবুল্লাহর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন কাওউক। ইসরায়েল এবং দেশটির নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি। তবে হিজবুল্লাহ এখনও কাওউক হত্যা নিয়ে ইসরায়েলের দাবির বিষয়ে কিছু বলেনি।
কাওউক ১৯৮০’র দশকে হিজবুল্লাহয় যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে তিনি দক্ষিণ লেবাননে নির্বাহী পরিষদের উপপ্রধান এবং প্রধান হিসাবেও কাজ করেছিলেন।
ইসরায়েল বলছে শুক্রবার হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরগুলোতে তাদের চালানো হামলায় হাসান নাসারাল্লাহরে সঙ্গে গোষ্ঠীটির বিভিন্ন পদে থাকা ২০ জন নেতাও নিহত হয়েছে। এর মধ্যে আছেন দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রন্টের নেতা আলি কারাকি। হিজবুল্লাহ গতকাল কারাকির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। অন্যান্য নেতাদের মধ্যে নাসরাল্লাহর নিরাপত্তা ইউনিটের প্রধান ইব্রাহিম হুসেইন জাজিনি এবং নাসরাল্লাহর দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা সমির তাওফিকও রয়েছেন বলে ইসরায়েল জানিয়েছে।