নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এ সমাবেশে আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ এ ঘোষণা দেন।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়ে রাসেল আহমেদসহ আন্দোলনকারীরা সেখানেই বসে পড়েন।
ছাত্রদের অনশন চলে রাত পর্যন্ত। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম কয়েক দফায় ছাত্রদের অনশন ভাঙার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত রাত ৯টার দিকে তিন দিনের মধ্যে দাবি মেনে নিবে এমন আশ্বাসে ছাত্ররা অনশন ভাঙেন। বিক্ষোভকারীরা ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করেন।
সমাবেশে রাসেল আহমেদ বলেন, ‘বিপ্লবের ছয় মাস পূর্ণ হতে চলেছে, কিন্তু এখনও সরকারের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। আমাদের ভাইদের রক্ত এখনও রাজপথে লেগে আছে। সরকার খুনিদের বিচার না করলে আমরা এখান থেকে উঠব না। লড়াই চলছে, লড়াই চলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘খুনি শেখ হাসিনাসহ গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরও এখন পর্যন্ত ন্যূনতম সংস্কার বা বিচার হয়নি। দুই হাজারের বেশি শহীদের রক্তের মূল্য দিতে হবে।’
রাসেল অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বাধীনতার পরও আমাদের খুনি হাসিনা ও তার দলীয় বাহিনীর বিচার চেয়ে রাজপথে নামতে হচ্ছে। আজও ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুন্ডাবাহিনী চট্টগ্রামের রাজপথে মিছিল করেছে। আমাদের শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।’
সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা প্রেস ক্লাব চত্বরে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। রাত ৯টায় অনশন শেষে তিন দিনের মধ্যে দাবি না মানলে আবার অনশনের ঘোষণা দেন।