কাপ্তাই প্রতিনিধি
১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। জামায়াতে ইসলামী শীর্ষ পর্যায়ের নেতা যারা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তি তাদের অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছে খুনী হাসিনা। তাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে। জুলাই আন্দোলনে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর যেভাবে নৃশংস হত্যা, নির্যাতন চালানো হয়েছে তার বিচার করতে হবে।
২৮ ফেব্রæয়ারি সকাল ১০টায় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাপ্তাই উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে মুসলিম-অমুসলিম সকলে একসাথে বসবাস করে। এখানে আল্লাহ তায়ালার অনেক নেয়ামত লুকিয়ে আছে। এখানে আগামীতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। আমরা সকল ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো। দীর্ঘ ১৮ বছর পর কাপ্তাই উপজেলায় অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কাপ্তাই উপজেলা আমীর মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ। উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক নুর জামালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য মুহাম্মদ জাফর সাদেক, রাঙামাটি জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল আলীম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৯৯ নং রাঙামাটি সংসদীয় আসনের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোখতার আহম্মদ, রাঙামাটি জেলার নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রাঙামাটি জেলা সেক্রেটারি মোঃ মনছুরুল হক, ইসলামী ছাত্রশিবির রাঙামাটি জেলার সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাফি। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির লোকমান হোসেন। বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রঘোনা ছাত্রশিবিরের শাখা সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন, উত্তর সভাপতি ই¯্রাফিল হোসেন সৈকত, জামায়াত নেতা আমীর হোসেন, মোঃ আবু তাহের, শফিকুল আলম, চন্দ্রঘোনা মিশন চার্চের সাধারণ সম্পাদক বিজয় মারমা, কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়সীম বড়ুয়া প্রমুখ।
