ঈদগাঁও প্রতিনিধি
কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে হালকা বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানিতে হাবুডুবু অবস্থা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। জমাবাঁধা পানিতে ময়লা-আবর্জনায় বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের রাস্তা ডুবে একাকার। হাসপাতালের ভেতরে ডাক্তারের চেম্বারও হাঁটুপানিতে পতিত। পানিতে বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যও ভেসে চলে আসছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চলাচলের রাস্তায়। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা নারী, শিশুসহ বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনদের ময়লা-আবর্জনা আর হাঁটুসমান পানি পার হয়ে ডাক্তারের চেম্বারে আসতে হচ্ছে। পানির কারণে ঝুঁকি নিয়ে অনেক অসুস্থ রোগী গাড়ি দিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে পারছে না। অপরিকল্পিত ড্র্যানেজ ব্যবস্থার কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সেবাপ্রার্থীরা।
পোকখালীর অসুস্থ আমেনা আক্তার (৫০), শাহেনার (৩৮) সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রচন্ড গরমে জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসতে হচ্ছে। কিন্তু জমে থাকা পানির কারণে গাড়ি নিয়ে কেন্দ্রে যাওয়া যাচ্ছে না। হেঁটে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। রয়েছে দুর্গন্ধময় ময়লা-আবর্জনা মারিয়ে যাওয়ার ভোগান্তিও। সব ঝক্কি-ঝামেলা শেষে ডাক্তারের চেম্বারে আসতে পারলেও সেখানেও ময়লা-আবর্জনাযুক্ত হাঁটুপানির কারণ দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. আবু সাদেক জানান, অল্প বৃষ্টিতে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আগামি বর্ষা মৌসুমে কি অবস্থা হয় জানিনা। এখানে দাঁড়িয়ে, হেঁটে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। জালালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে বলে জানান।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা ময়লা, আবর্জনা এবং পানি জমে থাকার বিষয়টি তিনি দেখেছেন বলে জানান। এছাড়াও ড্রোনেজ ব্যবস্থাপনার কাজটি যেহেতু জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর করে, তারাই করণীয় ঠিক করবেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানের মোবাইলে বার বার ফোন দিয়েও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।