বিশ্ব হার্ট দিবসে এভারকেয়ার হসপিটাল আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন, ‘হৃদরোগের যে কারণটি নিয়ে সচরাচর কথা হয়না তা হলো বায়ুদূষণ। হার্ট-অ্যাটাক, হৃদরোগ, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি ও মৃত্যুঝুঁকি বায়ুদূষণের কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ এ বিষয়ে অসচেতন। তাই পরিবেশ উন্নয়নেও সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশবিধ্বংসী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ও তৎপরতা জোরদার করতে হবে। বর্তমান বিশ্বে হার্টের রোগ বা হৃদরোগ মৃত্যুর এক নম্বর কারণ। বিশ্বব্যাপি প্রতিবছর হৃদরোগ ও স্ট্রোকের কারণে প্রায় ২ কোটি জীবন ঝরে যায়, যার অধিকাংশই ব্যক্তির স্বাস্থ্যসচেতনতা দ্বারা প্রতিরোধ করা সম্ভব’।
গতকাল রবিবার এভারকেয়ার হসপিটাল আলোচনা সভা ছাড়াও ম্যারাথন ও সাইক্লথনের আয়োজন করে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন’। সভায় বিশেষজ্ঞবৃন্দ নিজেদের মতামত ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। এসময় তাঁরা হার্টের সুস্থতা ও কার্ডিওভাস্কুলার রোগ সম্পর্কে জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম’র সিওও সামির সিং; ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ হাছান মামুন; ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াস; এবং ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তারেক বিন আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
বিশ্ব হার্ট দিবসের ম্যারাথন এবং সাইক্লথনসহ আউটডোর কর্মসূচীগুলোয় সব বয়সের মানুষের স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণ দেখা গেছে। শারিরীক শ্রমের মাধ্যমে হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার প্রত্যয়ে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম’র সিওও সামির সিং বলেন, বর্তমান বিশ্বে হার্টের রোগ বা হৃদরোগ মৃত্যুর এক নম্বর কারণ। বিশ্বব্যাপি প্রতিবছর হৃদরোগ ও স্ট্রোকের কারণে প্রায় ২ কোটি জীবন ঝরে যায়, যার অধিকাংশই ব্যক্তির স্বাস্থ্যসচেতনতা দ্বারা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
অধ্যাপক ডা. শেখ মোহাম্মদ হাছান মামুন বলেন, ‘ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন বলতে আমরা বোঝাচ্ছি, হার্টের রোগ প্রতিরোধে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। অন্যান্য রোগ থেকে হৃদরোগে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি। তাই সরকার ও সংশ্লিষ্টদের হৃদরোগ চিকিৎসাকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি কেন্দ্রীয় পলিসি গ্রহণ করতে হবে এবং এ বিষয়ে সবাইকে সম্মিলিতভাবে আওয়াজ তুলতে হবে’।
ডা. জহিরউদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াস বলেন, হৃদরোগের যে কারণটি নিয়ে সচরাচর কথা হয়না তা হলো বায়ুদূষণ। হার্ট-অ্যাটাক, হৃদরোগ, ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি ও মৃত্যুঝুঁকি বায়ুদূষণের কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ এ বিষয়ে অসচেতন। তাই পরিবেশ উন্নয়নেও সচেতন হতে হবে এবং পরিবেশবিধ্বংসী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম ও তৎপরতা জোরদার করতে হবে।
ডা. তারেক বিন আব্দুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য উদ্বেগ হলো কার্ডিওভাস্কুলার রোগ। তবে লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত মেডিকেল চেক-আপ করলে হার্ট সুস্থ থাকে। বিজ্ঞপ্তি