নিজস্ব প্রতিবেদক
ফিলিস্তিনে গণহত্যাকারী ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে নগরীর জিইসি মোড় থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে থাকা পিৎজা হাট, পুমা শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন খাইরুল নুর ইসলাম (২৭), মো. তামজিদ (২০), মো. ইব্রাহিম (২৬) ও মো. ইলিয়াস (৪৮)। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এদের মধ্যে তিনজন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এবং একজন যুবলীগের কর্মী।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের মধ্যে খাইরুল, তামজিদ ও ইব্রাহিম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। খাইরুল ও ইব্রাহিমের বাসা নগরীর লালখান বাজার এলাকায়। ইব্রাহিমের বাসা ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায়। আর পশ্চিম খুলশী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
ফিলিস্তিনে আগ্রাসনবাদী ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে গত সোমবার বিকেলে নগরীতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মিছিল বের হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মিছিল থেকে নগরীর খুলশী থানার জিইসি মোড়ে পিৎজা হাট রেস্তোরাঁ, হোটেল জামান এবং লালখান বাজারে পুমা শোরুম ও বীর চট্টলা রেস্তোঁরায় আক্রমণ করা হয়। এ ঘটনায় খুলশী থানার এসআই মো. জালাল আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বিক্ষোভের আড়ালে প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় খুলশী থানায় চার জনসহ এ নিয়ে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে চকবাজার থানায় এক কিশোর এবং কোতোয়ালী থানায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন বিক্ষোভের আড়ালে রেস্তোরাঁ, পোশাকের শোরুমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী, খুলশী, চকবাজার ও পাঁচলাইশ থানায় মোট চারটি মামলা দায়ের হয়েছে।
খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আফতাব হোসেন জানান, পিৎজা হাট, পুমা শোরুমসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও নাশকতা চালানো হয়েছিল। এ ঘটনায় চার জনকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, দেশে চলমান বিনিয়োগ সম্মেলনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ দেশের অর্থনীতিকে অকার্যকর করতে নাশকতা, ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেছিল।