হাটহাজারী প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অধিগ্রহণকৃত জায়গার ব্যবসায়ীদের বিনা নোটিশে উচ্ছেদ পাঁয়তারা করছে বলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহসড়কের মানববন্ধন করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ৩০ এপ্রিল দুপুরে ওই মহসড়কের হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা ‘আর-১৬০’ সড়কের উন্নয়ন কাজের পুরো প্রক্রিয়া পুনঃতদন্তের দাবি জানান।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, গত বছর আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জায়গা ফ্লাইওভার করা হবে বলে অধিগ্রহণ করা হয়। অথচ চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কের পূর্ব পাশে সরকারের সওজ’র জায়গা এবং সরকারের অন্য সংস্থার জায়গা বেদখল করে আছে বাস মালিক সমিতিসহ বেশ অনেকগুলো অবৈধ দখলদার। এমনকি মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কের জায়গা দখল করে লোহার পিলার স্থাপন করে রোড দখলে নেয় মালিক সমিতি। এবং রাস্তার উপর আরও দুই লাইন করে বাস ফেলে রাখে বাস মালিক সমিতি। ফলে যানজট দীর্ঘতর হতে হতে অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, বছরের পর বছর এসব চলে আসলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সওজ -এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অবৈধ দখলদারদের খাতিরের কারণে পার পেয়ে যায়। অতীতে আমরা জানতে পারি, তাদের অবৈধ দখলকৃত সম্পদ রক্ষার জন্য পশ্চিম পাশের ব্যক্তিমালাকানাধীন জায়গা অধিগ্রহণের জন্য উঠে পরে লাগে সওজ -এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২৯ এপ্রিল সওজের লোকজন এসে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্থাপনা ভাঙ্গা হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এ সময় অফিশিয়াল কোন নোটিশের কথা নাকচ করে দেন তারা। তারা মোবাইলে একটা পত্র দেখান, যেটাতে লেখা আছে চট্টগ্রাম-হাটাহাজারী-রাঙামটি মহাসড়কের ‘এন-১০৬’ রোড এর কথা উল্লেখ আছে, যেখানে অবৈধ দখলদাররা দখল করে আছে। অথচ আমাদের স্থাপনাগুলো ‘আর-১৬০’হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানিকছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়কের অংশ। তারা সুনির্দিষ্টভাবে কোন অংশটি ভাঙতে হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছেন। আমরা এ পত্রের মাধ্যমে একজন নাগরিক হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে ‘আর-১৬০’ হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানকিছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়কের (আর-১৬০) উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাই।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ী মো শাহীন, সুমন চৌধুরী, মো. সাজ্জাদুল্লাহ, মো. আলাউদ্দিন, মো. শাহজাহান, মো. সাকিব ও নাজমুল ইসলামসহ ওই এলাকার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
এ ব্যাপারে সওজ’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান জানান, এ বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ থাকলে তারা জেলা প্রশাসকের সাথে যোগযোগ করতে পারেন।