হাটহাজারী প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের পাশে সদ্য নির্মিত একটি ড্রেনে ঢাকনা (স্ল্যাব) না দেয়ায় হাজার হাজার চলাচলকারীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ড্রেনের অদূরে রয়েছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসারসহ নানা প্রতিষ্ঠান। কোমলমতি শিক্ষার্থী, সাধারণ জনসাধারণ ও ওই মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন এমন উন্মুক্ত ড্রেনে পড়ে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে মহাসড়কের পাশে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত হয় পানি সরানোর ১৫-১৬ ফুটের একটি ড্রেন। তবে ড্রেন নির্মাণের ২/৩ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ড্রেনের উপর কোনো স্ল্যাব বসানো হয়নি। ফলে ফুটপাত না থাকায় জনসাধারণকে চলাচলের ক্ষেত্রে মহাসড়কটি ব্যবহার করতে হচ্ছে। প্রতিদিন মহাসড়কটি দিয়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অফিস, হাসপাতাল ও হাট-বাজারগামী হাজার হাজার জনসাধারণসহ সকলে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এছাড়া এতে হাজার হাজার জনসাধারণ বিড়ম্বনার পাশাপাশি যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন পথচারী।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. শহিদুল আলম বলেন, উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে সীমান প্রাচীর ঘেঁষা মহাসড়কের পাশে পানি সরানোর জন্য নির্মিত ড্রেনটিতে ¯ø্যাব বসানো হয়নি বলে ফুটপাত না থাকায় আমাদের বাচ্চারা প্রতিদিন মহাসড়কের উপর দিয়ে স্কুলের যাওয়ার সময় এবং আমরা হাট-বাজার করতে গিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহন গায়ের উপর চলে আসে। কখন যে দুর্ঘটনা হয় সে আতংকে দিনাতিপাত করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জানান, আমার বিদ্যালয়ের প্রায় শিক্ষার্থী ছাড়াও আরও ৪/৫টি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। ড্রেনটা ঝুকিপূর্ণভাবে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে যে, আমাকে সবসময় আতংকে থাকতে হয়। পাশে চলাচলের ফুটপাত না থাকায় মহাসড়কের উপর দিয়েই সবাইকে চলাচল করতে হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক শাখা হাটহাজারীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ পারভেজ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।