হাটহাজারীতে ডাকাতের গুলিতে সেনা সদস্য আহত

3

হাটহাজারী প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মুদি দোকানে (মুদির মালামালসহ বিকাশের লেনদেন হয়) দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সশস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যরা জিম্মি করে ওই দোকানের ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত বিকাশের ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতদের গতিরোধ করার চেষ্টা করলে দোকানির ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম সায়েম (২৫) নামে এক সেনা সদস্যকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে ডাকাত সদস্যরা। এ সময় ডাকাত দলের গুলিতে ওই সেনা সদস্য গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গতকাল শনিবার ভোররাত আনুমানিক ৩টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পূর্ব দেওয়ান নগর শায়েস্তা খাঁ পাড়ার লতিফ সওদাগর বাড়ির পাশে রাশেদুল ইসলাম পিপলুর ‘গাউছিয়া গ্রোসারি’ নামক একটি দোকানে এই ঘটনা ঘটে। আহত সেনা সদস্য সায়েম ওই দোকান মালিকের ছোট ভাই। তার (সৈনিক) কর্মস্থল সিলেট ২৭ বীর সেনানিবাস বলে জানা গেছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিয়ে হিসাব-নিকাশ চলছিল। তখন ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাত দোকানে ঢুকে রাশেদুল ইসলামকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। তারা দুটি ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ নগদ টাকা এবং দামি সিগারেটসহ মালামাল লুট করতে শুরু করে।
বাসার সিসি ক্যামেরায় এই দৃশ্য দেখে সেনাসদস্য সায়েম দ্রুত তার বড় ভাইয়ের দোকানের দিকে দৌড়ে আসেন। তিনি দোকানে পৌঁছে ডাকাতদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করা মাত্রই ডাকাতরা তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে সায়েমের গলায় (থুতনির নিচে) গুলিবিদ্ধ হয়। তখন তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর ডাকাতদলের সদস্যরা লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় ৪/৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
এদিকে, গুলির শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। তারা গুলিবিদ্ধ সায়েমকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বাবু।
তিনি আরও বলেন, সেখানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়ার পরামর্শ দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিএমএইচে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করেন।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। অপরাধী যেই হোক দ্রæত সময়ের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।