হাছান মাহমুদকে গ্রেপ্তার ও ডিসিকে অপসারণের দাবি

3

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী সন্ত্রাসের হুকুমদাতা ড. হাছান মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে জাতির সামনে হাজির এবং স্বৈরাচারী সরকারের মদদদাতা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে সমস্ত হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাসের মূলনায়ক হচ্ছে ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ। তারা দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। তাই তাদের ভাই-বোনসহ পরিবারের অবৈধ সম্পদ জব্দ করে রাষ্ট্রীয় হেফাজতে নিতে হবে। হাছান মাহমুদের চট্টগ্রামের সিরাজউদ্দৌলা রোডে বিশাল ১১ তলা ভবনসহ, রাঙ্গুনিয়ায় পেট্রোল পাম্প, বাড়িসহ সব অবৈধ সম্পদ সরকারের হেফাজতে নিয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও লুটেরা এমপি ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন চট্টগ্রামে শান্তি কমিটি গঠনের মাধ্যমে দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে কঠোর হস্তে দমন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসক সম্প্রতি সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। এছাড়া তিনি পতিত স্বৈরাচারী সরকারের পদলেহন করে সুবিধাভোগ করেছেন। ছাত্র জনতার আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছেন। তিনি এখনো ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টায় নিয়োজিত আছেন। সে জন্যে তাকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া লুটেরা শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের টিভি চ্যানেলে এখনো কৌশলে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিশেষ করে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার আহব্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরামের আহব্বায়ক অধ্যাপক ড. নসরুল কাদির চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হাসান আরিফ, এ্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, ড্যাব মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়া পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কোর্ট বিল্ডিং শাখার আহব্বায়ক অ্যাড. মো. আলাউদ্দিন ও যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. জালাল উদ্দিন পারভেজ।