হল দখল, র‌্যাগিং কালচার বিন্দুমাত্র সমর্থন করি না

1

চবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্ররাজনীতিকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল দখল, র‌্যাগিং কালচার, সিনিয়র-জুনিয়র ডমিনেন্সকে বিন্দুমাত্র সমর্থন করি না। আমরা কাউকে কখনও জোর করে ছাত্রশিবির করতে বলি না। আমরা সৎ, দক্ষ এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক হতে শিক্ষার্থীদের আহবান জানাই।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফ্র্রেশার রিসিপশন এন্ড ক্যারিয়ার গাইডলাইন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের শিখিয়ে গেছে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে, সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করতে হবে, দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। ইসলামী ছাত্রশিবির এ ধরনের প্রেরণা নিয়ে কাজ করে এবং শিক্ষার্থীদের তাদের সহযোগী হওয়ার আহবান করে। কোন শিক্ষার্থী যদি মনে করে ছাত্রশিবিরের সাথে সংযুক্ত না হয়েও সে এ নৈতিক কাজগুলো করতে পারবে, আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই।
শিবির সেক্রেটারি বলেন, গত ১৬ বছর শিবিরকে উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমাদের নামে দিয়েছে অজস্র অপবাদ। তাই অনেকে আমাদের গালি দেয়। আমরা কারো গালিকে বাধা দিবো না।স্বাধীন দেশে কারও কোন কাজে বাধা দেওয়া উচিত না। তবে আমরা অনুরোধ করছি, আমাদের কাজেও আপনারা বাধা দিবেন না। আমাদেরকে আদর্শিক চর্চা করতে দিন, তাহলে দ্রুতই বুঝতে পারবেন আমাদের বিরুদ্ধে সমালোচনাগুলো কতটা সত্য এবং কতটা অপবাদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেট সংলগ্ন এ জে কনভেনশন হলে সকাল ৯টায় শাখা ছাত্রশিবিরের শিক্ষা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের উদ্বোধনী বক্তব্যে শুরু হয় অনুষ্ঠান। যা চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এতে সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম। এতে চট্টগ্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সহস্রাধিক নবীন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্লানিং ও ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ডা. ওসামা রাইয়ান। প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী। বিশেষ আলোচক ছিলেন ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হাসমত আলী। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনা করে ‘দুর্নিবার সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ’।