হাসান মুহাম্মদ কফিলুদ্দীন
রাব্বল আলামীন এই ধরাধামকে সাজানোর জন্য কতেক নক্ষত্র-মহা নক্ষত্রের বিকাশ ঘটিয়েছেন। এ সকল নক্ষত্রের মাধ্যমে জগতের দিকহারা মানুষদের দিশা দিয়েছেন। হেদায়েতের আলোকরশ্মি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনের আয়াত ও হাদীস শরীফের বাণীগুলোর মূল তত্ত্ব দ্বারা সাধারণ মানুষের জীবনকে সজ্জিত করেছেন। এ সকল নক্ষত্ররাজি দ্বারা ভালোবাসা নামক অনুভূতির পূর্ণতা দান করেছেন। এ সকল মহাতারকার অনুসরণে দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তি নির্ধারিত করেছেন। এমন সব নক্ষত্র দিয়ে রব তা’আলা সাজিয়েছেন তাঁর পরম প্রেমের বাগান। সৃষ্টি করেছেন এক অনন্ত ভালোবাসার রাজ্য। সে রাজ্যের নামই ‘তাসাউফ সাম্রাজ্য’। বহু রাজা-মহারাজাগণের আগমন ঘটেছে এই সাম্রাজ্যে। এই রাজ্যের মহা সম্রাটগণের প্রেমডোরে নিজেকে হারিয়েছেন কত শত-সহস্র বুজুর্গানে দ্বীন তার ইয়ত্তা নেই। আর অন্তরহারা প্রেমিকের সংখ্যা? সে তো অগনিত! প্রেমের এমনই এক আধ্যাত্মিক মারকাযের নাম ‘মির্জাখীল দরবার শরীফ’- সিলসিলায়ে আলীয়া জাহাঁগীরিয়ার ধারক ও বাহক। মির্জাখীল দরবার শরীফের পীরানে এযামগণের সম্পর্কে বেশি কিছু বলার নেই। সারা জগত তাঁদের পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। তাঁদের গুণকীর্তনকে নিজেদের সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করেন। তাঁদের গোলামীকে নিজেদের জন্য পূণ্যের কাজ বলে অন্তরে ধারণ করেন। নিজ নিজ সময়ের শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক সম্রাট হিসেবে শাহ জাহাঁগীরগণ জাহাঁগীরি শাহী মসনদে আসীন ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
পূর্ব পুরুষগণ ফাতেমী বংশোদ্ভূত, সুদূর আরব হতে আগত। ইসলাম প্রচারের মানসে দিল্লীর রাজন্যবর্গ বাংলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে তাঁদের সাথে ফাতেমী বংশোদ্ভুত দুইজন মহাত্মা ‘সৈয়দ’ বাংলায় আগমন করেন। তাঁরা প্রথমে আনোয়ারা থানার দেয়াং গ্রামে অবস্থান গ্রহণ করে ইসলাম প্রচারের কাজে আত্মনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে তাঁদের বংশধরগণ সাতকানিয়া থানার মির্জাখীল গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস আরম্ভ করেন। রাসূল মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই পবিত্র বংশধারাতেই আগমন হয় ভূবন বিখ্যাত আলেম, ফকীহ, বরেন্য মুজতাহিদ, আধ্যাত্মিক জগতের শাহবাজ মৌলানা মোখলেছুর রহমান (ক.) ছাহেব। রূহানী জগতে যিনি ‘শেখুল আরেফীন’ উপাধিতে ভূষিত এবং ‘সিলসিলায়ে আলীয়া জাহাঁগীরিয়া’ নামক আযীমুশশান সিলসিলা দ্বারা মহিমান্বিত। ‘শাহ জাহাঁগীর’ তাঁর লকব।
পবিত্র ওফাতের পূর্বে হযরত শেখুল আরেফীন (ক.) তাঁর ছোট ছাহেবজাদা হযরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন মৌলানা মুহাম্মদ আবদুল হাই (ক.) কে তাঁর পরবর্তী জাহাঁগীরি মসনদের উত্তরাধীকারী নির্বাচিত করেন। তাঁর পরবর্তী সাজ্জাদানশীন হন জগতপীর খ্যাত, যুগের গউস, বেলায়ত সম্রাট হযরত শাহ জাহাঁগীর শমছুল আরেফীন মৌলানা মুহাম্মদ মখছুছুর রহমান (ক.) ছাহেব। হযরত শাহ জাহাঁগীর শমছুল আরেফীন (ক.) দুনিয়াবী জীবনেই সিলসিলার পরবর্তী সম্রাট হিসেবে যাকে নির্বাচিত করে গিয়েছিলেন; তিনিই যুগশ্রেষ্ঠ তত্ত্বজ্ঞানী, আরেফগণের গৌরব, খোদা-তত্ত্ব জ্ঞানীদের আকাঙ্খার আধার, মা’রেফতের উদীয়মান সূর্য্য, স্বীয় সময়ের অদ্বিতীয় বিদ্বান, হযরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন (ক.)। ১৩৫৯ হিজরীর ১৭ জমাদিউস সানী মোতাবেক ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জুলাই, ১৩৪৭ বাংলার ৯ শ্রাবণ ঐতিহ্যবাহী ‘মির্জাখীল দরবার শরিফে’ জগত উদ্ভাসিত করে পিতা হযরত মৌলানা মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান শাহ রা. এবং মাতা তাপসী ও যুগের ‘রাবেয়া বসরী’ মহিয়সী আনোয়ারা বেগম রা. এর পবিত্র ঘরে শুভাগমন করেন সিলসিলায়ে আলীয়া জাহাঁগীরিয়ার আলোকবর্তিকা, যুগশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ, তাপসকূল শিরোমণি হযরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন মৌলানা মুহাম্মদ আরেফুল হাই (ক.)।
হযরত যখন মাতৃগর্ভে ছিলেন তখন মাতা সাহেবানী স্বপ্নে দেখলেন, একটি প্রাসাদে বহু বুজুর্গ মহিয়সী মহিলাদের মাঝে তিনি উপবিষ্ট আছেন। হঠাৎ একটি উজ্জ্বল চন্দ্র আসমান হতে তঁাঁর নিকট অবতরণ করল। স্বপ্নের মাঝেই উক্ত বুজুর্গ মহিলাদেরকে চন্দ্রটি দেখালে তাঁরা সমস্বরে বলে উঠেন, এটি হযরত শাহ জাহাঁগীরের গাদ্দীনশীনের চন্দ্র। যাকে সুউচ্চ মরতবা প্রদান করা হবে। পৃথিবীতে তাঁর আগমন অতি সন্নিকটে। তাঁর মাধ্যমে সৃষ্টিকূল সঠিক পথের দিশা পাবে।
হযরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন (ক.) যখন দুনিয়ায় আগমন করলেন তখন ২য় শাহ জাহাঁগীর হযরত ফখরুল আরেফীন (ক.) এর ছোট বোন সৈয়দা নজমুন্নিছা রা. হযরতকে কোলে নিয়ে ৩য় শাহ জাহাঁগীর হযরত শমছুল আরেফীন (ক.) এর খেদমতে উপস্থিত হলে তিনি পবিত্র কানে আযান ও ইকামত প্রদানের পর নিজ আঙ্গুল মুবারক হযরতের মুখে দিয়ে মধু সেবন করান। পরবর্তীতে হযরত (ক.) বলেন, তখন হতেই আমার সারা শরীরে আমার হযরত কেবলা-ও-কাবার অশেষ দানের ফোয়ারা প্রবাহিত হওয়া আরম্ভ হয়েছিল। তিনি একবার এমনও বলেছিলেন, আমার জন্মের বহু পূর্ব হতেই আমার পীর-মুর্শিদের বিশেষ দানসমূহ আমার উপর ফল্গুধারার ন্যায় প্রবাহিত ছিল।
একদা তিনি এমনও বলেছিলেন, আমার শিশুকালে কান্না করলে আমার পীর-মুর্শিদের হুজরা শরীফে সংবাদ প্রদান করা হত। তখন তিনি অন্দর মহলে আসতেন এবং আমার মুখে আপন শাহাদাত আঙ্গুলি রাখতেন। আমি সে আঙ্গুল চুষে খেতাম। আমার পেট ভরে যেত। কান্নাও থেমে যেত। শাহ জাহাঁগীর হযরত ফখরুল আরেফীন (ক.) এর প্রধান খলিফা মৌলানা হাকিম সৈয়দ সিকান্দার শাহ রা. একবার হযরতকে বাই-সাইকেল চালাতে দেখার পর হিন্দুস্থানে গমন করে তাঁকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখে পাঠান। সেখানে হযরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.) এর উক্ত বাণীখানা লিপিবদ্ধ করেন। বলাবাহুল্য, তিনি ছাহেবে কাশফ ও কারামতের অধিকারী হয়ে হযরতের মাঝে ঐ মহান বুজুর্গের অস্তিত্বই দেখতে পেয়েছিলেন। ইবতেদায়ীর শিক্ষা, প্রাথমিক আরবি ও ফার্সির জ্ঞান নিজ গৃহে আপন পূজনীয় পীর-মুর্শিদ হযরত শাহ জাহাঁগীর শমছুল আরেফীন (ক.) এর পবিত্র তত্ত্বাবধানেই অর্জন করেন। প্রাথমিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটলে গারাংগিয়া আলীয়া মাদ্রাসা ও দারুল উলুম আলীয়া মাদ্রাসা এবং পরবর্তীতে ওয়াজেদীয়া আলীয়া মাদ্রাসায় তৎকালীন শ্রেষ্ঠ উলামা ও বুজুর্গানে দ্বীনের তত্ত্বাবধানে পর্যায়ক্রমে কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন।
যৌবনকালের সময়কে পুরোদমে তিনি জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে কাজে লাগিয়ে মানব কল্যানে নিজেকে ব্রতী রাখেন। সমসাময়িক যুব সমাজকে নিয়ন্ত্রণ এবং সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রমে আনসার ট্রেনিং সম্পন্ন করে নিজেকে প্রস্তুত করেন। পরবর্তীতে স্ব-উদ্যোগে আনসার ক্যাম্প পরিচালনা করেন। শুধু তা-ই নয়; সার্ভেয়ার ট্রেনিং সর্বোচ্চ কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন। মির্জাখীল এলাকার কৃষি নির্ভর অর্থনৈতিক বিনির্মাণে ক্রস-ড্যাম্প নির্মাণ করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাছাড়া সারা দেশ ও বহির্বিশ্বের ডাক যোগাযোগ এবং টিএন্ডটি সংযোগ স্থাপন ও মির্জাখীল পোস্ট অফিস অনুমোদন এবং প্রতিষ্ঠা, একইসাথে বৈদ্যুতিক পরিসেবার বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে তিনি গুরুদায়িত্ব পালন করেন। দরবার প্রাঙ্গণে বাজার স্থাপন সেই সাথে জনসাধারন ও ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জনের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে নিজ উদ্যোগে সরকারি অগ্রণী ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু ও গ্রাহক সেবা আরম্ভের ব্যবস্থা করেন। ঐ সময়ে মির্জাখীলের সাথে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে তার সক্রিয় ভূমিকা ও পদক্ষেপ দশগ্রামের মানুষ চিরকাল স্মরণ রাখবে।
ইত্যবসরে আপন দাদা হযরত ২য় শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.) ছাহেবের অনুসরনে সমুদ্রপথে ভ্রমণ করে হজ্বকার্য্য সম্পাদনের ইচ্ছা পোষন করেন। ১৩৯৮ হিজরীর ১২ই যিলকদ, ১ম শাহ জাহাঁগীর হযরত শেখুল আরেফীন (ক.) ছাহেব কেবলার পবিত্র ওরস শরীফের প্রথম দিন সকল কার্য্য সম্পাদন করে সম্মানিত পিতা-মাতা উভয়ের দোয়া নিয়ে ‘হিজবুল বাহার’ নামক জাহাজে চড়ে হজ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ১৪ দিন পর জেদ্দা সমুদ্র বন্দরে পৌঁছান। আপন পীরানে এযামগণের অনুসরসে প্রথমে মদীনা শরীফে পবিত্র রওজা যিয়ারত করেন। ঐ সময়ে তিনি খালি পায়ে থাকতেন। এ বিষয়ে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলে উত্তরে বলেন, যে পবিত্র স্থানের আদব রক্ষার্থে এবং ভক্তি প্রদর্শনে মস্তকে হেঁটে যাওয়া আবশ্যক; সেখানে খালি পায়ে হাঁটা তো যোগ্য সম্মান প্রদর্শন নয়। হজ্ব কার্য্য সম্পাদন করে একইভাবে ১৪ দিন জাহাজে চড়ে দরবার শরীফে ফিরে আসেন। ১৪০০ হিজরীর ২৭ জমাদিউস সানী মোতাবেক ১২ মে, ১৯৮০ সালে আজমীর শরীফ সহ ভারতবর্ষ সফরে বের হন। পরবর্তীতে ১৪০২ হিজরির ২৪ মহরম মোতাবেক ২২ নভেম্বর, ১৯৮১ খ্রীষ্টাব্দে দ্বিতীয়বার হিন্দুস্থান সফরে বের হন। এরপর ১৪০৪ হিজরীর ২৭ মহরম মোতাবেক ৩রা নভেম্বর, ১৯৮৩ সালে ৩য় বারের মত হিন্দুস্থান সফর করেন। প্রতিবারই ক্লান্তিহীন ও বিরতিহীনভাবে এত স্থান সফর ও উপরস্থ পীরানগণ ও সিলসিলার সাথে সম্পর্কিত এবং মুহব্বতের সাথে সংযুক্ত সকল বুজুর্গানদের মাজার শরীফ যিয়ারত করেছিলেন যে, কলেবর বৃদ্ধির কারনে সফর সমূহের বিস্তারিত বর্ণনা এই লেখায় সম্ভবপর নয়।
হিন্দুস্থানে ২য় বার সফরের পর হযরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জে শকর রাঃ এর মাজার মুবারক যিয়ারতের জন্য তিনি ব্যাকুল হয়ে পড়েন। ১৪০২ হিজরীর ২৭ যিলহজ্ব রোজ বৃহস্পতিবার দরবার শরীফ থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন এবং লাহোর, পাক পতন শরীফ, মুলতান শরীফ, শেমালী এলাকা-জাত, ইসলামাবাদ, গোলরাহ শরীফ, মোজাফফরাবাদ, আজাদ, কাশ্মীর, তুসা, সিহওয়ান শরীফ, করাচি সফর করে তত্ত¡জগতের শ্রেষ্ঠতম বুজুর্গানদের মাজার শরীফ সমূহ যিয়ারত করে দরবার শরীফে ফিরে আসেন। দেশ বিদেশের সফর সমাপ্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে সিলসিলায়ে আলীয়া জাহাঁগীরিয়ার মসনদে আরোহন করেন। ঐ সময়ের পর হতে পরবর্তীতে প্রায় ২২ বছর আস্তানা পাকের বাহিরে তিনি কদম রাখেন নি। ত্যাগ, তিতিক্ষা, তপস্যা, সাধনা, ইবাদতের যিন্দেগীতেই নিজেকে বিলিয়ে দেন। আস্তানা পাক থেকেই শাসন করেন রূহানী জগত। এই সময়ে তিনি পরিপূর্ণরূপে দরবারেই অবস্থান করতেন। সকলেই তাঁর সান্নিধ্যে গমন করে নিজেদের সৌভাগ্যমন্ডিত করতেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী এই পরম পূজনীয় মহাত্মা ১৪৪৭ হিজরীর ৩রা জমাদিউল আউয়াল মোতাবেক ২৪শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ, পবিত্র জুমাবার সকালে হায়াতে যিন্দেগীর সফর শেষ করে মহামহিম প্রভুর মিলনপ্রাপ্ত হন। হায়াতে যিন্দেগীর স্তুতিগাঁথার সমাপ্তি ঘটে তত্ত্বজগতের অনিন্দ্য সুন্দর প্রাণপুরুষ, সিলসিলায়ে আলীয়া জাহাঁগীরিয়া, মির্যাখীল দরবার শরীফের চতুর্থ মসনদনশীন সম্রাট, হযরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন মৌলানা মুহাম্মদ আরিফুল হাই (ক.) এর। রাব্বল আলামীন সিলসিলায়ে আলীয়া জাহাঁগীরিয়ার সকল পীরানে এযামগণের উসিলায় আমাদের কবুল করুন। তাঁর প্রিয় নক্ষত্ররাজির অনুসরন ও তাঁদের ভালোবাসার মাধ্যমে আমাদের উভয় জগতের কামিয়াবী দান করুন। আমিন।
লেখক : প্রাবন্ধিক











