মাওলানা ছৈয়দ আখতার কামাল শাহ্
শাহ্ছুফী হাফেজ মাওলানা ছৈয়দ নজীর আহমদ শাহ্ আল মাইজভান্ডারী (কঃ) বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার (বর্তমান কর্ণফুলী থানা) অন্তর্গত জুলদা গ্রামে স্বনামধন্য মুনছুর আলী চৌধুরী বাড়ীর সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মরহুম মোহাম্মদ আছদ আলী চৌধুরীর ঔরষে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মরহুম আছদ আলী চৌধুরীর চার পুত্র সন্তানের মধ্যে ২য় পুত্র ছিলেন। ২২ রবিউস ছানী ১৩১৬ হিজরী, ৩ আশ্বিন ১৩০২, ১২ জুন ১৮৯৬ ইংরেজী, রোজ সোমবার ছোবহে ছাদেক। এই মহান অলি ৬৩ বৎসর বয়সে, ১৫ রজব ১৩৮৯ হিজরী, ২৯ পৌষ ১৩৬৫ বাংলা, ১৩ জানুয়ারী ১৯৬০ ইংরেজী রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অগনিত ভক্ত, অনুরক্ত ও আশেকানদের ছেড়ে পরম মাসুকে হাকিকির নিকট বেছাল প্রাপ্ত হন (ইন্না লিল্লাহে………রাজিউন)। হযরত নজীর ভান্ডারী (কঃ) তাঁহার পিতা-মাতা ও ভাই-বোনদের সাথে একটি আদর্শ পারিবারিক পরিবেশে বড় হয়ে উঠেন। বাল্যকালে তিনি বাড়ীর বা এলাকার অন্য সকল ছেলেদের তুলনায় ভিন্ন স্বভাবের ছিলেন। একাগ্রতা, শিষ্টাচারিতা, সদালাপিতা ও অধ্যবসায় ইত্যাদি তাঁর চরিত্রে শোভা পেতো। পাশাপাশি তিনি লেখা পড়ায়ও মনোনিবেশ করেন।
তিনি এতই মেধাবী ছিলেন যে, মাত্র ৯ বছর বয়সে পবিত্র কালামউল্লা শরীফ মুখস্থ করিতে সক্ষম হন। ১৪ বছর বয়সে মসজিদে খতমে তারাবির নামাজের পবিত্র দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ঈমাম নিযুক্ত হন। স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি চট্টগ্রাম শহরে আসেন এবং পশ্চিম মাদারবাড়ী নিবাসি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রশিদ মাস্টারের বাড়িতে জাগির থাকা শুরু করেন। তদ্বকালিন সময়ের বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন, বাহারুল উলুম, হযরত মাওলানা মোহাম্মদ নাজের শাহ (রা:) (বর্তমানে হযরত গরিব উল্লাহ শাহ্ (রা:) এর মাজারের সামনে তাঁর মাজার শরফি অবস্থিত) এর ব্যবস্থাপনায় পরিচালিক সরকারি মোহছেনিয়া মাদ্রাসায় তিনি ভর্তি হন। হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) তাঁর মেধা, অধ্যবসায় ও সৎ চরিত্রের কারণে হযরত নাজের শাহ (রা:) ও অন্যান্য মোদাচ্ছেরগণের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হন। তিনি আরবী, উর্দু ও ফার্সী ভাষায় বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেন। ইলমে শরিয়তে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জনে উদ্দেশ্যে ফিকাহ্, নাহু, ছরফ ও মানতেক বিষয়ে গভীরভাবে অধ্যয়ন করেন। মোহছেনিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা শেষে তিনি ইলমে তফছির ও ইলমে হাদিস শরীফের উপর স্নাতক ডিগ্রি লাভের উদ্দেশ্যে আরো ১০ জন সহপাঠীসহ এই উপমহাদেশের তদ্বকালীন সর্বোচ্চ ইসলামি বিদ্যাপীঠ কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় গমন করেন। সেখানে তিনি দীর্ঘ ৫ বছর ইলমে তফছির ও ইলমে হাদিস শরীফের উপর অধ্যয়ন করেন। অকুতোভয় যুবক হযরত নজীর ভান্ডারী (কঃ) কোরআন শরীফ, হাদিস শরীফ, ইজমা, কেয়াস, ফেকাহ, নাহু, ছরফ, বালাগাত, মানতেক সহ সর্ববিষয়ে যেমন পারদর্শিতা অর্জন করেন, তেমনি ইলমে ফরায়েজ ও ইলমে সিফা তথা হেকিমি বিদ্যায়ও সমান পারদর্শিতা লাভ করেন।
হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) রেঙ্গুন থাকাকালীন অবস্থায় সেখানে চট্টগ্রাম শহরের পাঠানটুলী চাটশ্বরাই গায়েবি মসজিদ এলাকার এক পূর্ব পরিচিত লোক তার শরনাপন্ন হন এবং আরজ করলেন- আমি মানত করেছি বাড়িতে গিয়া আপনার মাধ্যমে আমার বাড়িতে পবিত্র মিলাদ মাহফিল উদ্যাপন করব। আপনি দয়া করে দাওয়াত কবুল করবেন কি? হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) দাওয়াত কবুল করিয়া তাহাকে দিন তারিখ নির্ধারিত করে দিলেন। উভয় জনে স্বদেশে আসার পরে যথা সময়ে ছাহেবে দাওয়াতের বাড়িতে আসিয়া হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) উপস্থিত হয়েছেন। যথা সময়ে ওয়াজ মাহফিল শুরু হয়ে গেল। উক্ত মাহফিলে ধর্মপ্রাণ অনেক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তন্মধ্যে অত্র এলাকার বিশিষ্ট আলেম হযরত মাওলানা ছৈয়দ আমানত উল্ল্যাহ্ শাহ আল মাইজভান্ডারী (র:) উপস্থিত ছিলেন। হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) ওয়াজ নছিয়ত, আদব আখলাক দেখিয়ে হযরত মাওলানা ছৈয়দ আমানত উল্ল্যাহ্ শাহ মোলাকাত করে পরদিন সকালে নাস্তার দাওয়াত দিলেন এবং হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) উনার দাওয়াত সাদরে গ্রহন করলেন। পরদিন সকালে পরিচয় মাওলানা ছৈয়দ আমানত উল্ল্যাহ্ শাহ্ (র:) হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) যাবতীয় পরিচয় গ্রহন করেন এবং এক পর্যায়ে মাওলানা ছৈয়দ আমানত উল্ল্যাহ্ শাহ (র:) ছাহেব তাঁর কন্যার সাথে হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) বিয়ের প্রস্তাব করেন। প্রসঙ্গত মাওলানা ছাহেবের উক্ত কন্যা আলেমা ছিলেন। উক্ত প্রস্তাবের ব্যাপারে হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) কোন প্রকার মন্তব্য না করে এই ব্যাপারে তাঁর বড় ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। উক্ত বড় ভাইয়ের নাম মরহুম নুরুজ্জামান আহমদ। সেখান থেকে বিদায় নিয়ে আসার পূর্ব মূহুর্তে তাঁর বাড়ির নাম-ঠিকানা লিখে দিলেন। ২/৩ দিন পরে হযরত ছৈয়দ আমানত উল্ল্যাহ্ শাহ্ (র:) পশ্চিম পটিয়া থানার জুলদা গ্রামের মরহুম মুনছুর আলি চৌধুরী বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন। যথাযথ মেহমানদারীর পরে মরহুম নুরুজ্জামান আহমদ মেহমানের আগমনের কারণ জানতে চাইলে তিনি তাঁর মেয়ের সাথে হযরত মাওলানা ছৈয়দ নজীর আহমদ শাহ্ আল্ মাইজভান্ডারী (র:) এর বিয়ের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তখন মরহুম নুরুজ্জামান আহমদ দেরি না করে মেহমানের সাথে পাঠানটুলী কাপুড়িয়া পাড়াস্থ কনের পিত্রালয় এসে কনে দেখেন। অত:পর খুশি হয়ে বিবাহের প্রস্তাব কবুল করত: উক্ত বৈঠকেই বিবাহের দিন তারিখ ধার্য্য করেন। যথা সময়ে দুইটি মহান আত্মার শুভ নিকাহের কাজ সমাপ্ত করে নতুন অতিথিসহ সকলে আনন্দঘন পরিবেশে জুলদা গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। বিবাহের কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) তাঁর কর্মস্থল বার্মার রেঙ্গুন নগরীতে চলে যান। বেশ কিছু দিন পর তিনি জানতে পারলেন তাঁর শ্বশুর হযরত মাওলানা ছৈয়দ আমানত উল্ল্যাহ শাহ্ (র:) মাইজভান্ডারী ত্বরীকার অনুসারী। (কিন্তু বিবাহের পূর্বে এই বিষয়ে হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) জানা ছিল না।) শ্বশুর তরীকতপন্থী জানতে পারায় হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) প্রকাশ বাবা ভান্ডারীর সাথে দেখা করে তাঁর সাথে বাহাছ করার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি একদা মাইজভান্ডার দরবার শরীফে গমন করেন হযরত গাউসুল আজম মাওলানা ছৈয়দ গোলামুর রহমান শাহ্ আল মাইজভান্ডারীর (ক:) হুজরা শরীফ হতে অনেক দূরে দাড়িয়ে তাঁকে দেখার চেষ্টা করলেন। উপস্থিত আশেকানদের আচার আচরণে সন্তুষ্ট হতে না পেরে তিনি বাবাভান্ডারীর সাথে দেখা না করে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। উল্লেখ্য যে, তৎকালীন সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় অধিক পথ পায়ে হেটে চলতে হত। চট্টগ্রাম শহর থেকে মাইজভান্ডার দরবার শরীফ যেতে একদিন সময় লাগত। অতএব হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) দুইদিনের উপবাস ও ক্লান্ত। বাড়ীতে এসে গোসল শেষে আরো ক্লান্ত বোধ করতে লাগলেন। তিনি রাতের আহারের পর জায়নামাজেই ঘুমিয়ে পড়েন। হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) বর্ণনা করেছেন “আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম এক জ্যোতির্ময় মহাপুরুষকে। আকাশের চন্দ্রের আলোও যেন তাঁর নূরের কাছে হার মানায়। আমি উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে ভক্তিভাবে কদমবুচি করলাম। আমাকে লক্ষ্য করে তিনি বলতে লাগলেন, আমাকে চিন? আমি এই জামানার মুজাদ্দেদ, গাউসুল আজম মাওলানা ছৈয়দ গোলামুর রহমান শাহ (ক:)। তুমি আমার দরবারে গিয়ে আমার সাথে সাক্ষাত না করে কেন চলে এসেছ? আমার দরবার থেকে কেউ খালি হাতে ফিরে না। তোমার কিসমত খুবই ভাল, আমি তোমাকে ডেকে নিতে এসেছি। তোমার জন্য আল্লাহর কুদরতি শক্তির বেলায়তি একটি পরিপূর্ণ মাত্র রেখেছি। তুমি আমার নিকট হতে তা গ্রহন করে নিয়ে আস। আমি তোমার অপেক্ষায় আছি।” হযরত নজীর ভান্ডার (ক:) জাগিয়া উঠেন এবং ফজরের নামাজ আদায়ের পর প্রাণপ্রিয় মাশুকের দিদারের উদ্দেশ্যে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে রওয়ানা হন। প্রথমে হযরত গাউছুল আজম মাওলানা ছৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ আল্ মাইজ ভান্ডারীর (ক:) পাক পবিত্র রওজা শরীফে জিয়ারত করেন, অত:পর হযরত গাউছুল আজম, ইউছুপে ছানী, জামাল মোস্তফা, শাহ্ ছুফী মাওলানা ছৈয়দ গোলামুর রহমান শাহ্ আলম মাইজভান্ডারী (ক:) খেদমতে হাজির হওয়া মাত্রই তাঁর হৃদয়ে নূরানী ঝলক, শুরু হয়ে যায়। তিনি বাবা ভান্ডারীর কেবলা কাবার সামনে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে তাঁকে যেন এক বিশাল কুদরতি চুম্বক টানিয়া বাবা ভান্ডারীর (ক:) পবিত্র কদম শরীফে সেজদায় পড়ে থাকেন। সেজদা হতে উঠে বাবা ভান্ডারীর (ক:) নূরানী চেহারা মোবারকের দিকে অপলক নেত্রে তাকিয়ে রইলেন। বাবা ভান্ডার কেবলা কাবা (ক:) তাঁর পরিধানের চাদরের ভিতর হতে একটি পাকা কলা তার নিজ হাতে হযরত নজীর ভান্ডারীকে খাওয়াইয়া দিলেন। কলাটি খাওয়ার পর হযরত নজীর ভান্ডারী আরো একটি সেজদা আরজ করলেন। উক্ত কলারূপি তবারুকের মাধ্যমে নেয়ামতে উজমা তথা ফয়েজে এতেহাদি প্রাপ্ত হয়ে দ্বিতীয় সেজদায় খেলাফতের মহান দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।
ঐ দিন থেকে তিনি একাধারে ১১ (এগার) দিন বাবা ভান্ডারীর খেদমতে নিয়োজিত ছিলেন। এগার দিন পরে হযর গাউছুল আজম মাওলানা ছৈয়দ গোলামুর রহমান শাহ্ আল্ মাইজভান্ডারী (ক:) বাবাজান কেবলা কাবা সকল খলিফাগণের উপস্থিতিতে ফরমাইয়াছেন- “নজীর-তু-বেনজীর হো গিয়া” তুমি বাড়িতে চলে যাও। এখানে বাবা ভান্ডারী (ক:) হযরত নজীর ভান্ডারী (ক:) কে লক্ষ্য করে যেই কালামটি পেশ করেছেন এরই মাধ্যমে ফয়েজে এতেহাদি ও খেলাফত প্রাপ্তির সাক্ষ্য বহন করে। অত:পর তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। সেখানে কিছুদিন অবস্থানের পর পুনরায় বার্মার রেঙ্গুন নগরিতে তাঁহার কর্মস্থলে যোগদান করেন। একদা বাবা ভান্ডারি কেবলা কাবা তাঁহাকে স্বপ্ন যোগে হুকুম করিলেন- “হে নজীর আহমদ তুমি ত্বরীকত প্রচার কর। তোমার উপর যে মহান দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা পালন কর।” আমিন, ছুম্মা আমিন।
হযরত নজীর ভান্ডারী (ক:) দ্বিতীয় মহা বিশ্ব যুদ্ধের সময় সুদুর বার্মার রেঙ্গুন থেকে পায়ে হেঁটে স্বদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। উনার সঙ্গে অনেক ভক্ত, মুরিদান ও সাধারণ জনগণ ছিলেন। ভক্তদের মধ্যে রাউজানের কালামিয়া ফকির বর্ণনা করেন, বাবাজানসহ আমরা বর্তমানে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে কিছু দূর সামনে আসার পর বিশ্রামের জন্য একটি গাছতলায় সবাই বসিয়া পড়ি। বাবাজান আমাকে বলিলেন, “কালামিয়া আমার পা ফুলে গেছে। ঐ সামনের পাহাড়ে হলুদ গাছ আছে, তুমি আমার জন্য কিছু কাঁচা হলুদ নিয়ে আস।” আমি অনতিবিলম্বে একজন সঙ্গী সহ ঐ পাহাড়ে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোন হলুদ গাছ না পেয়ে খালি হাতে ফিরে এসে বাবাজানকে আরজ করিলাম- বাবাজান, ঐখানে কোন হলুদ গাছ নাই। এক প্রকারের গাছ দেখিতে পাইলাম যাকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ফইল্লা গাছ বলে। তখন বাবাজান পূনরাদেশ করলেন “তোমরা আবার যাও; আমি ঐখানে হলুদ গাছ দেখতে পাচ্ছি।” তারপর আমরা দুজন সাথে সাথে ঐ পাহাড়ে গিয়ে দেখি ঐ ফইল্লা গাছগুল হলুদ গাছে পরিণত হইয়াছে। ছোবহান আল্লাহ। আমরা বাবাজানের এই আশ্চর্য কেরামত দেখে বিস্মিত হলাম এবং ঐখান থেকে হলুদ গাছ নিয়ে বাবাজানের খেদমতে হাজির হইলাম। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২৯ শে পৌষ ১৪৩১ বাংলা, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ইং সোমবার ৬৫তম বার্ষিক ওরশ পাঠানটুলী কাপুড়িয়া পাড়া ও ছোটপোল আস্তানা শরীফে ধর্মীয় উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ওরশ শরীফ পালিত হবে। সারা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্তরা ওরশে যোগদান করবেন।
লেখক: শাহ্জাদায়ে নজীর ভান্ডারী