হত্যা মামলা নিয়ে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ

19

নিজস্ব প্রতিবেদক

বান্দরবানের আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারে ড. এফ দীপংকর মহাথের (ধুতাঙ্গ ভান্তের) মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর ভাইয়ের দায়ের করা হত্যা মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে রোয়াংছড়ি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম এমরান এই আদেশ দেন। মামলার তিন আসামিরা হলেন- হ্যাপি চাকমা ও তাঁর স্বামী এমিল তঞ্চগ্যা এবং জনারণ্য ভিক্ষু। মামলার প্রধান আসামি হ্যাপি চাকমা ছিলেন-দীপংকর মহাথের ভান্তের প্রধান সেবিকা।
বাদিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ রাশেল বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্বদেশকে বলেন, তিনজনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই কাজল বড়ুয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে যে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে তাদেরকে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ও বিতর্কিত মনে হয়েছে। আদালত এটিকে এজাহার হিসেবে ট্রিট করে সাত দিনের মধ্যে থানাকে রিপোর্ট দিতে বলেছে।’ মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই দুপুরে বান্দরবানের কালাঘাটা গোদারপাড় এলাকার আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারে একটি কুঠিরের লোহার সিলিংয়ের সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ড. এফ দীপংকর মহাথের (ধুতাঙ্গ ভান্তের) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের সময় আসামিরা অসংলগ্ন আচরণ করেন। এমনকি মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্থানীয়রা কুঠিরে ঢুকতে চাইলেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ঘণ্টাখানেক পর স্থানীয় পুলিশ আসলে গণমাধ্যমকর্মীদের ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পরদিন (১৪ জুলাই) রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ বান্দরবান জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করেন। পরে মরদেহটি ড. এফ দীপংকর মহাথের জন্মস্থান ফটিকছড়ি উপজেলার ফরাঙ্গীরখীল গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এখনো মরদেহটি ফ্রিজারের সংরক্ষিত রয়েছে। ফরাঙ্গীরখীল গ্রামের নান্টু বড়ুয়া ও পুটি রাণী বড়ুয়ার ছেলে ড. এফ দীপংকর মহাথের। মামলায় উল্লেখ করা হয়-পরিকল্পিতভাবে ড. এফ দীপংকর মহাথের ধুতাঙ্গ ভান্তকে হত্যা করা হয়েছে। ভান্তের বাম পায়ের হাঁটুতে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।