স্মৃতির মোড়কে স্বাদের বার্তা

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

কুরবানির ঈদ এলেই বাঙালির রান্নাঘরে শুরু হয় ভিন্ন আমেজ। গরুর কালাভুনা, খাসির রেজালা থেকে ঐতিহ্যের মেজবানি মাংস। সব ধরনের সুস্বাদু মুখরোচক খাবার থাকে ভোজনের টেবিলে। আর ঠিক পাশে বড় এক থালায় রাখা থাকে মুচমুচে বাকরখানি। কুরবানি মাংসের ঘ্রাণ, আপনজনের মুখে হাসি, আর সেই চেনা খাস্তা বাকরখানির স্বাদ। যেন ফিরে যায় পুরানো স্মৃতিতে কুরবানি মাংসের সাথে বাকরখানি। সুস্বাদু এ রুটির উপস্থিতি ঈদের আমেজ বাড়িয়ে তোলে।
ঈদের আমেজ বাড়িয়ে দিতে চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা মানের হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে-ভিউ। ঘি ভাজা, খাস্তা ও সুস্বাদু বাকরখানি। বিশুদ্ধ ঘি, ময়দা ও মানসম্পন্ন উপাদানে অভিজ্ঞ বেকারি শেফের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হবে বাকরখানি। প্রতিটি স্তরে থাকবে যত্ন আর আন্তরিকতার ছাপ। প্রতিটি টুকরোতে থাকবে স্বাদ আর ভালোবাসার ছোঁয়া।
তবে সুস্বাদু এ বাকরখানি রুটির নামের পেছনে রয়েছে আগা বাকের ও খনি বেগমের প্রেমের ইতিহাস। নাজির হোসেনের লেখা ‘কিংবদন্তীর ঢাকা’ বইয়ে এই কাহিনীর উল্লেখ আছে। মির্জা আগা বাকের ঢাকায় বাকরখানি রুটির প্রচলন করেন। নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁর দত্তক ছেলে আগা বাকের প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন। যুদ্ধবিদ্যায়ও ছিলেন পারদর্শী ও প্রসিদ্ধ। বাকেরের প্রেয়সী ছিলেন রাজধানী মুর্শিদাবাদের নর্তকি খনি বেগম। খনি বেগমের মৃত্যুর পর আগা বাকের দ্বিতীয় মর্শিদ কুলি খাঁর কন্যাকে বিয়ে করেন। কিন্তু আগা বাকের মন থেকে খনি বেগমের প্রেমের স্মৃতি ভুলতে পারেননি। তাই আগা বাকেরের আবিষ্কৃত রুটির নাম হয়ে যায় বাকরখানি।
ইতিহাস থেকে আরও জানা যায়, বাকরখানির প্রথম দোকান গড়ে ওঠে পুরান ঢাকায়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সারা দেশে বাঙালির উৎসবের খাবারে পরিণত হয়। বিশেষ করে কুরবানি ঈদে মাংসের সাথে বাকরখানি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
হোটেল সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আনন্দকে সবার মাঝে আরও বেশি উদ্যমে ছড়িয়ে দিতে ঐতিহ্যের সমন্বয়ে স্পেশাল বাকরখানি নিয়ে এসেছে রেডিসন ব্লু। চালু করেছে বিশেষ টেকঅ্যাওয়ে সার্ভিস। অগ্রীম অর্ডার দেওয়ারও সুব্যবস্থা রয়েছে। দামেও রয়েছে বিশেষ ছাড়। প্রতি পিস বাকরখানি মিলবে মাত্র একশ টাকায়।
হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে-ভিউ’র অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার (পিআর) ওয়াসিক জাওয়াদ বলেন, ঈদ মানেই র‌্যাডিসন ব্লু’র ব্যতিক্রম আয়োজন। এবার কুরবানির ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের চাহিদার ভিত্তিতে স্পেশাল বাকরখানি নিয়ে এসেছি আমরা। বিশ্বমানের নিজস্ব শেফ দ্বারা তৈরি করা হবে। অর্ডার দিলে টেকওয়ে সার্ভিসের মাধ্যমে বাসায় নিয়ে পরিবার-পরিজনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবেন। মূলত, ঐতিহ্যের সম্মিলনে ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দিতে আমাদের এ আয়োজন।